• ঢাকা
  • বুধবার, ১৫ মে, ২০২৪, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ৬ জ্বিলকদ ১৪৪৫

অস্টিওআর্থ্রাইটিস আসলে কী


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: এপ্রিল ১২, ২০২৩, ০৩:০৯ পিএম
অস্টিওআর্থ্রাইটিস আসলে কী

সাধারণত ৪৫ বছরের পর থেকেই জয়েন্টে সামান্য পরিবর্তন হয়, একে অস্টিওআর্থ্রাইটিস বলে। জয়েন্ট সামান্য একটু ফুলে যায়, জয়েন্টে ব্যথা হয়।

অস্টিওআর্থ্রাইটিস কী
অস্টিওআর্থ্রাইটিস হলো এক ধরণের বাত। যেটি বয়স্কদের হয়ে থাকে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বিশ্বব্যাপী ৬০ বছরের বেশি বয়সী ৯.৬ শতাংশ পুরুষ এবং ১৮.০শতাংশ নারীর অস্টিও আর্থ্রাইটিস রয়েছে। অস্টিওআর্থ্রাইটিসকে ডিজেনারেটিভ জয়েন্ট ডিজিজ আর্থ্রাইটিসও বলা হয়। অস্টিওআর্থ্রাইটিস খুব সাধারণ বাত। আমাদের জয়েন্টের ভেতরে হাড়ের শেষ প্রান্তে কার্টিলেজ নামক এক ধরণের অংশ থাকে, যা অস্থিসন্ধিকে ফ্লেক্সেবল রাখে এবং জয়েন্টের অতিরিক্ত চাপ বা প্রেসার শোষণ ও নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। কোনো কারণে এ কার্টিলেজ নামক পদার্থটি ক্ষয়ে গেলে তা আর্থ্রাইটিসে রূপ নিতে থাকে। এই সমস্যা একদিনে বোঝা সম্ভব হয় না। পরিবর্তনগুলো খুব ধীরে ঘটতে থাকে। মায়ো ক্লিনিকের মতে, এটি সাধারণত হাত, হাঁটু, নিতম্ব এবং মেরুদণ্ডের জয়েন্টগুলোকে প্রভাবিত করে।

 

লক্ষণ

টাইমস অব ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, অস্টিওআর্থ্রাইটিস হাতেও দেখা দিতে পারে। সেক্ষেত্রে ছোটখাট কাজ করতেও সমস্যা হতে পারে। এমনকী হাতের আঙুল বেঁকে যেতে পারে। হাতের কবজি থেকে আঙুল পর্যন্ত যেকোনো জয়েন্টে ব্যথা হতে পারে। ব্যথার পরিমাণ অনেক বেশি হয়। অস্টিও আর্থ্রাইটিসের লক্ষণগুলো ধীরে ধীরে প্রকাশ হয় এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা আরও খারাপ আকার ধারণ করতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণগুলোর মধ্যে একটি হতে পারে আক্রান্ত জয়েন্টে ব্যথা। এসব ক্ষেত্রে অস্থিসন্ধি ফুলে যেতে পারে, জয়েন্ট লাল হয়ে যেতে পারে, এমনকী জ্বরও আসতে পারে।


কাদের ঝুঁকি বেশি

ইউএস সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) অনুসারে, স্থূল, ৫০ বছর বা তার বেশি বয়সী ব্যক্তি, বাতের পারিবারিক ইতিহাস রয়েছে এমন ব্যক্তি, পূর্বে কোনো আঘাত পেয়েছেন, ভারী জিনিস তোলার কাজ বেশি করেন এমন ব্যক্তি, মেনোপোজ হয়ে যাওয়া নারী, খেলাধুলা করেন এমন ব্যক্তি এবং যারা ধূমপান করেন তারা অস্টিওআর্থ্রাইটিসের ঝুঁকিতে বেশি থাকেন। একবার এই সমস্যা দেখা দিলে পুরোপুরি সারিয়ে তোলা সম্ভব হয় না। তবে সঠিক যত্নের মাধ্যমে ও সঠিক খাবার গ্রহণের মাধ্যমে এটি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

 

প্রতিকার
এ ধরনের ব্যথা দূর করার জন্য নিয়মিত ব্যথানাশক ওষুধ খেলে রোগীর দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি হতে পারে। বেশির ভাগ আর্থ্রাইটিসের মূল চিকিৎসা হলো রোগ নিয়ন্ত্রণকারী অ্যান্টিরিউম্যাটিক ড্রাগ। এগুলো সঙ্গে সঙ্গে ব্যথা না কমালেও এর মাধ্যমে অসুখ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়। এছাড়াও, বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, কারকিউমিন সমৃদ্ধ ফাংশনাল ফুড অস্টিওআর্থ্রাইটিসে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে। এগুলো দীর্ঘদিন সেবন করা প্রয়োজন। সেইসঙ্গে নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলা উচিত।

Link copied!