শরীরে কোনও অসুবিধা হলে ডাক্তারের কাছে যান। ডাক্তার প্রথমেই চোখের রং পরীক্ষা করবে। এরপর বাকি চিকিত্সা। কারণ চোখের বর্ণেই রোগের সন্ধান মিলবে। যেমন জন্ডিস হলে চোখ হলুদ হয়ে যায়, অ্যালার্জি হলে বা প্রেসার বাড়লে চোখ লালচে হয়।
সবার চোখের আকার, চোখের মণি একইরকম নয়। চোখের মণির নানা রং হয়। কারও চোখ গাঢ় বাদামি, কারও আবার দূসর, কারো নীলচে, কারও আবার তামাটে রঙের হয় চোখ। চোখের মণির রংও স্বাস্থ্যঝুঁকি সম্পর্কে জানাবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চোখের মণির রং দেখে স্বাস্থ্য সম্পর্কে জানা যাবে। কোন রঙের চোখ কোন রোগের ইঙ্গিত দেয় চলুন জেনে আসি এই আয়োজনে।
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, যাদের চোখের মণি বাদামি বা নীলচে হয় তাদের শ্রবণশক্তি কম হয়। বয়সের সঙ্গে তাদের শ্রবণক্ষমতা কমতে থাকে। কারণ বাদামি চোখের মানুষের চোখ ও কানে বেশি মেলানিন থাকে। এই মেলানিন শব্দের মাত্রা বেড়ে গেলে সুরক্ষা দেয়। তবে পরবর্তী সময়ে এই কারণেই শ্রবণশক্তি কমে যেতে পারে।
এছাড়াও অস্ট্রেলিয়ার এক গবেষণায় দেখা যায়, গাঢ় বাদামি চোখের মণি যাদের আছে তাদের ছানির সমস্যা বেশি হয়।
চোখের রং নীল, সবুজ বা ধূসর রঙের হলে তাদের চোখে ইউভেল মেলানোমা নামক এক ক্যানসারের ঝুঁকি বেশি থাকে। ২০১১ সালের একটি ইউরোপীয় গবেষণায় জানানো হয়, নীল চোখ ও ফর্সা ত্বকের মানুষেরা বেশি টাইপ ১ ডায়াবেটিসে ভুগে থাকেন। এছাড়াও নীল চোখের নারীদের এন্ডোমেট্রিওসিসের ঝুঁকি্ও বেশি। এক্ষেত্রে জরায়ুর ভেতরের টিস্যু এর বাইরেও বেড়ে যায়। যা মূত্রাশয় ও অন্ত্রের মতো অঙ্গগুলোকে আক্রমণ করে।
যাদের চোখের মণিতে বাদামি বা নীল রঙের দাগ আছে, তা হতে পারে ওয়ার্ডেনবার্গ সিন্ড্রোমের একটি উপসর্গ। এটি একটি জেনেটিক ব্যাধি। যার কারণে চুল, ত্বক ও চোখের সমস্যা হয়।
গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব নারীর চোখের রং গাঢ় হয় তারা ইউরিন ইনফেকশনে ভুগে থাকেন। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়ায় করা আরও এক গবেষণায় বলা হয়, যাদের চোখের রং হালকা তারা বয়সজনিত ম্যাকুলার ডিজেনারেশন হওয়ার ঝুঁকি থাকে। কারণ কম ইউভি আলো আইরিস দ্বারা শোষিত হয়। যার কারণে আলো বেশি রেটিনাতে প্রবেশ করে এবং দৃষ্টিশক্তি কমে যায়।
সূত্র: ওয়েবএমডি
আপনার মতামত লিখুন :