গ্রীষ্মকালকে ‘রসের ঋতু’ বলা হয়। এই ঋতুতে রসালো সব ফলের দেখা মেলে। এর মধ্যে সবার অন্যতম প্রিয় ফল লিচুও রয়েছে। গাছে গাছে ঝেঁকে উঠেছে লিচুর ফলন। বাজারেও এখন কম-বেশি লিচু পাওয়া যাচ্ছে। যা চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। কিছুদিন পরেই পাকা লিচু দিয়ে ভরে উঠবে বাজার। তখন দামও হবে সাশ্রয়ী।
রসে টইটম্বুর লিচুর স্বাদ সবার প্রিয়। শুধু খেতে সুস্বাদু নয়, গুণেও লিচুর জুড়ি নেই। আশ্চর্য সব স্বাস্থ্যগুণে ভরপুর এই লিচু। রোগ প্রতিরোধ থেকে শুরু করে ত্বকের সুরক্ষাতেও লিচু দারুন কার্যকর।
স্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞরা জানান, প্রতি ১০০ গ্রাম লিচুতে শক্তির পরিমাণ ৬৬ কিলোক্যালরি, শর্করা ১৬.৫৩ গ্রাম, প্রোটিন ০.৮৩ গ্রাম, চর্বি ০.৪৪ গ্রাম, আঁশ ১.৩ গ্রাম থাকে। এছাড়াও অসংখ্য ভিটামিন আর মিনারেল, ভিটামিন সি, নিয়াসিন, থায়ামিন রয়েছে।
ঋতুর রসালো ফল লিচুর কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতার কথা জানুন এই আয়োজনে_
ক্যানসার থেকে মুক্তি দেয় লিচু
লিচুতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ক্যানসার প্রতিরোধী উপাদান রয়েছে। বিশেষ করে লিচু স্তন ক্যানসার ঠেকাতে বেশ কার্যকর।
হৃদ্যন্ত্রের খেয়াল রাখে লিচু
দেহের হৃদ্যন্ত্রকে সুস্থ রাখতে নিয়মিত লিচু খেতে হবে। লিচুতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রয়েছে। যা হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমায়। পাশাপাশি হৃদ্যন্ত্রের কাজকে সক্রিয় রাখে।
পেটের সমস্যা কমাবে লিচু
লিচু হজম শক্তি উন্নত করে। এতে যথেষ্ট পরিমাণ ফাইবার ও প্রচুর পানি থাকে। যা হজমের জন্য কাজ করে। গরমে আমাদের পেটে নানা সমস্যা হয়। লিচু খেলে পেটের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
লিচু খেলে চোখ ভালো থাকবে
লিচু আপনার চোখ জোড়াও যত্ন নিবে। এটি খেলে চোখের ছানি পড়ার সমস্যা থেকেও মুক্তি পাবেন। লিচুতে রয়েছে বিশেষ ফাইটোকেমিক্যাল।যা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ও চোখের সুরক্ষার জন্য দরকারী। যা চোখে ছানি পড়াও আটকাতে সাহায্য করে।
ওজন কমাবে লিচু
যারা ডায়েট চার্ট অনুযায়ী ওজন কমাচ্ছেন তারা লিচু খেতে পারেন। এটি আপনার ওজন বাড়াবে না। লিচুতে প্রচুর পানি, ফাইবার থাকে। সেই সঙ্গে ফ্যাটের পরিমাণ থাকে কম। এই ফলটি ডায়েট চার্টে যুক্ত হলে শরীরে ক্যালরি ব্যালেন্স হয়। শরীরে শক্তি বজায় থাকার পাশাপাশি ওজন কমে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় লিচু
লিচুতে রয়েছে অলিগোনল নামের একটি উপাদান। এটি শরীরকে ভাইরাস সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। ফলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
ত্বকের যত্ন নেয় লিচু
লিচু খেলে ত্বকের স্বাস্থ্যও ভালো থাকে। লিচুর রস ব্যবহার করে ত্বকের কালচে দাগ দূর হয়। এমনকি রোদে পোড়া ত্বকের ট্যান দূর করতেও লিচুর রস কার্যকর। লিচু রস মুখে লাগিয়ে নিলেই উপকার মিলবে। তাছাড়া এটি ত্বকের বলিরেখাও দূর করবে।