মোবাইল ফোনে কথা বলার সুবিধার্থে অনেকেই এখন ব্লুটুথ হেডফোন ও ইয়ারফোন ব্যবহার করেন। ভাব আদান-প্রদানের এটি সুবিধা দিলেও শরীরের মারাত্মক ক্ষতি করে অত্যাধুনিক এই যন্ত্রটি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দীর্ঘ সময় এটি ব্যবহারে শরীরে ক্যানসারের মতো মরণব্যাধি হতে পারে।
সম্প্রতি ক্যালিফোর্নিয়ার জন ওয়েন ক্যানসার ইনস্টিটিউটের গবেষক-চিকিৎসক সন্তোষ কেশরি এক সাক্ষাৎকারে এই তথ্য জানান। সন্তোষ কেশরি বলেন, “পরিসংখ্যানে দেখা গেছে নিয়মিত ব্লুটুথ হেডফোন এবং ইয়ারফোন ব্যবহারের ফলে ক্যানসারসহ অন্য অসুখের আশঙ্কা বাড়ে।
সন্তোষ কেশরির মতে, ব্লুটুথ থেকে রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি নির্গত হয়। ২.৪ গিগাহাটজে এই রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি কাজ করে। ব্লুটুথ থেকে ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন হয়। এই রেডিয়েশন দুই ধরনের। আয়োনাইজিং ও ননআয়োনাইজিং। ব্লুটুথ থেকে যে ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন হয়, সেটি ননআয়োনাইজিং। এই ধরনের রেডিয়েশন ক্যানসারসহ নানা সমস্যার শঙ্কা বাড়িয়ে দেয়।
এদিকে অনেক গবেষকের দাবি, ব্লুটুথ ইয়ারফোন ও হেডফোনের কারণে ক্যানসারের আশঙ্কা বাড়ে না। কারণ এর রেডিয়েশনের মাত্রা খুবই কম।
কিন্তু যন্ত্রটির ‘স্পেসিফিক অ্যাবসর্পশন রেট’ বা ‘এসএআর’-এর মাত্রা কতটা নিরাপদ হতে পারে তা নিয়ে কোন বিশ্লেষণ করেননি গবেষকরা।
‘এসএআর’-এর মাধ্যমে রেডিশনের কতটা শরীরে ঢুকছে সেই মাত্রা পর্যবেক্ষণ করা হয়। এই যন্ত্রে রেডিয়েশনের মাত্রা খুব কম। তবে তা মাথার কাছে থাকে বলে ‘এসএআর’-এর মাত্রা বেড়ে যায়, যা থেকে ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
প্রতিকার হিসেবে সন্তোষ কেশরি উপদেশও দিয়েছেন। তিনি বলেন, “ফোনে কথা বলার সময়ে স্পিকার চালু করলে বা তার-যুক্ত হেডফোন-ইয়ারফোন ব্যবহার করলে স্বাস্থ্যঝুঁকি অনেকটাই কমে।”
সূত্র: হেল্থলাইন