চিনি খাওয়া যেমন ক্ষতিকর, তেমনি কাঁচা লবণও শরীরের জন্য় মারাত্মক ক্ষতিকর। লবণ কম খাওয়ার অভ্যাস থাকলে রান্নার সময়ই কম-বেশি পরিমাণমতো ব্যবহার করে নিন। কিন্তু খাওয়ার সময় কাঁচা লবণ মোটেও খাবেন না। যদি লবণ বেশি খাওয়ার অভ্যাস থাকে, তবে যতটা সম্ভব কাঁচা লবণ কম খাওয়ার চেষ্টা করুন।
চিকিৎসকরা বলেন, কাঁচা লবণ বেশি খেলে শরীরে বাঁধে নানা রোগ। হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক এবং উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা বেশি হয়। বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য় কাঁচা লবণ বিষের সমতুল্য। পরিমিত লবণ খাওয়ার চেষ্টা করুন। তাহলে সুস্থ জীবনযাপন করতে পারবেন।
নিয়মিত কাঁচা লবণ খেলে বেশ কিছু রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। শরীরে কী কী সমস্যা হতে পারে, তা জানাব এই আয়োজনে।
উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা
অতিরিক্ত লবণ খেলে রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকে না। এতে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা বেড়ে যায়। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ না থাকলে আর্টারিরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর ফলে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার আশঙ্কা বহুগুণ বেড়ে যায়। অতিমাত্রার কাঁচা লবণ খেলে হতে পারে হার্টের কার্যক্ষমতাও নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
ক্যানসারের শঙ্কা
অতিরিক্ত কাঁচা লবণ খেলে ক্যানসারের মতো ভয়ংকর মরণব্যাধি রোগ হতে পারে। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয় পাকস্থলীর। ফলে পাকস্থলীর ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কা বেড়ে যায়।
কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে
শরীরের ইলেকট্রোলাইটের মাত্রা ঠিক রাখতে লবণের কোনো বিকল্প নেই। কিন্তু বেশি মাত্রায় লবণ খাওয়া একদমই ঠিক নয়। কারণ, লবণ যত বেশি আমাদের শরীরে প্রবেশ করবে, কিডনির কার্যক্ষমতা তত কমতে থাকবে।
আলসার হতে পারে
শরীরে বেশি লবণ প্রবেশ করলে পাকস্থলীর আবরণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে পাকস্থলী আলসারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। সেই সঙ্গে শরীরে পানির ভারসাম্য নষ্ট হয়। নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়।
অস্টিওপোরোসিস হতে পারে
শরীরে লবণের মাত্রা যত বাড়বে আপনি তত বেশি জটিল রোগে আক্রান্ত হবেন। তেমনি একটি রোগ হচ্ছে অস্টিওপোরোসিস। এই রোগে আক্রান্ত হলে আপনার ঘন ঘন পানি পিপাসা পাবে। আর বেশি বেশি খাবার বা পানি খেলে প্রস্রাবও বেশি হবে। এর ফলে শরীর থেকে ক্যালসিয়াম বেড়ে যেতে পারে। আর এমনটা হতে থাকলে শরীরের হাড় দুর্বল হয়ে পড়ে। ফলে দেখা দিতে পারে অস্টিওপোরোসিসের মতো রোগ।
মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমে যেতে পারে
অতিরিক্ত কাঁচা লবণ মস্তিস্কের ওপরও প্রভাব ফেলে। এটি মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে। সেই সঙ্গে ধীরে ধীরে স্মৃতিশক্তি কমে যেতে থাকবে।
সূত্র: হেলথ লাইন