আমলকী এমন একটি ফল, যার সম্পূর্ণ অংশই উপকারী। এর প্রতিটি উপাদান যেমন ফল, ফুল, বীজ, পাতা, ছাল এবং শিকড় ঔষধি হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
আমলকী খেলে কী উপকার হয়, তা জানলেও আমলকীর বীজও যে আমাদের শরীরের জন্য উপকারী, এ বিষয়ে অনেকেই জানেন না। আমলকীর সবুজ রঙের শক্ত বীজও শরীরের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান দেয়। এর পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা সম্পর্কে জানব।
আমলকীর বীজ ভিটামিন সি এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। এ ছাড়া এতে পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ক্যারোটিন, শর্করা, আয়রন, ফাইবার, প্রোটিন, ভিটামিন এবি কমপ্লেক্স, ম্যাগনেশিয়াম ও খনিজ রয়েছে। প্রাচীনকাল থেকেই আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে আমলকীর বীজ। সর্দি-কাশি থেকে শুরু করে ত্বকের ও চুলের যত্নে এটি দারুণ কাজ করে। চলুন জেনে নিই আমলকী বীজের উপকারিতাগুলো।
চোখের সমস্যার সমাধানে
চোখের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে আমলকীর বীজ ব্যবহার করা হয়। চোখ চুলকানি, জ্বালাভাব ও লালচে ভাবের সমস্যার সমাধানে এটি কার্যকর। আমলকীর বীজ পেস্ট করে চোখের ওপরের ও নিচে লাগাতে হবে। আয়ুর্বেদ চিকিৎসকরা প্রতিদিন একটি করে আমলকী খেতে বলেন, যা চোখ ভালো রাখে।
নাকের রক্তক্ষরণ কমাতে
নাক থেকে রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে সাহায্য করে আমলকীর বীজ। ঘাসের কুচির সঙ্গে আমলকীর বীজ একটু ভেজে নিয়ে পানি দিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্টটি কপালে লাগিয়ে নিন রক্তক্ষরণ কমে যাবে।
লিউকোরিয়ার প্রতিকারক হিসেবে
আমলকীর বীজে রয়েছে ভিটামিন সি ও অ্যান্টি ইনফেকশন উপাদান, যা লিউকোরিয়া প্রতিরোধে খুব সাহায্য করে। এক চা-চামচ শুকনা আমলকী বীজ পাউডার পানিতে গুলিয়ে নিন। এবার এটা জ্বাল করে নিন। এরপর এই মিশ্রণে সামান্য চিনি বা মধু মিশিয়ে খালি পেটে খেয়ে নিন। নিয়মিত এক মাস খেলে এই সমস্যা থেকে আপনি মুক্তি পাবেন।
সর্দি, কাশি, গলাব্যথার সমস্যা সমাধানে
দীর্ঘমেয়াদি সর্দি, কাশি, গলাব্যথা থেকে মুক্তি পেতে আমলকীর বীজ বেশ ভালো কাজ করে। প্রতিদিন সকালে ১ চামচ আমলকীর বীজ এক গ্লাস পানির সঙ্গে মিশিয়ে খেতে হবে।
ত্বকের সমস্যার সমাধানে
আমলকী বীজ শুকিয়ে গুঁড়ো করে পানি বা মুলতানি মাটির সঙ্গে মিশিয়ে মুখে, গলায় হাতে লাগান। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে। এতে ভিটামিন সি রয়েছে যা ব্রণ,মেছতার দাগ দূর করতে সাহায্য করে। নিয়মিত আমলকী বীজ ব্যবহারে নিষ্প্রাণ ত্বক সজীব হয়ে ওঠে।
এ ছাড়া আমলকীর বীজ আরও কিছু রোগের পথ্য হিসেবে ব্যবহ্নত হয়। যেমন,
* জ্বর
* টিউবারকিউলোসিস (টিবি)
* ব্রঙ্কাইটিস
* অ্যাজমা
* বদহজম
* ছানি পড়া
                
              
																                  
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    






































