• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

লিবারেশন ডকফেস্টে যারা পুরস্কৃত হলেন


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: এপ্রিল ২৩, ২০২৪, ০২:৪৯ এএম
লিবারেশন ডকফেস্টে যারা পুরস্কৃত হলেন
চলচ্চিত্র উৎসব। ছবি: সংবাদ প্রকাশ

পাঁচ দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক প্রামাণ্য চলচ্চিত্র উৎসব ‍‍`লিবারেশন ডকফেস্ট বাংলাদেশ’ এর বিজয়ী চলচ্চিত্র নির্মাতাদের পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে। সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেল ৫টায় রাজধানীর মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে সমাপনী অনুষ্ঠানে এ পুরষ্কার দেয়া হয়। 

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকায় প্যালেস্টাইন দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন জিয়াদ এম এইচ হামাদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন বরণ্যে সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসিরউদ্দিন ইউসুফ।  জুরি ছিলেন ভারতীয় চলচ্চিত্র নির্মাতা হাওবাম পবন কুমার এবং কৃষ্ণেন্দু বোস।

সমাপনীতে টেক্সিবল (Taxibol) প্রামাণ্যচিত্রের জন্য আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা বিভাগে সেরা ছবির পুরস্কার পান স্পেনের নির্মাতা তামোসা সান্তামব্রোগিয়ো। জাতীয় প্রতিযোগিতা বিভাগে ‘দ্যা স্ক্র্যাপ’ ছবির জন্য সেরা ছবির পুরস্কার পান মাসুদুর রহমান।

জাতীয় বিভাগে বিজয়ী ছবির নির্মাতাকে এক লাখ টাকা এবং আন্তর্জাতিক বিভাগে বিজয়ী ছবির নির্মাতাকে এক হাজার মার্কিন ডলার পুরস্কার দেয়া হয়।

এবছরই প্রথম এই উৎসবে শিক্ষার্থী নির্মাতাদের জন্য অডিয়েন্স এওয়ার্ড চালু করা হয়। স্টুডেন্ট পার্সপেক্টিভ বিভাগে অডিয়েন্স এওয়ার্ড পান  তাওসিন জাফর, ফাহমিন আদনান, জারিন তাসনিম রোজা পরিচালিত Banyan - A Silent Witness.

এছাড়া জাতীয় বিভাগে ইয়ুথ জুরি পুরস্কার দেয়া হয় ব্রাত্য আমিন পরিচালিত ‘কোম্পানিদেশ’। আন্তর্জাতিক বিভাগে ইয়ুথ জুরি পুরস্কার দেয়া হয় ইরানের নির্মাতা মেহদি ফালাহি পরিচালিত দ্যা মাদার অব মাইগ্রেশন (The Mother of Migration).

সেইসাথে পুরস্কৃত চলচ্চিত্রের বিশেষ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। উৎসবে ছবি দেখানোর পাশাপাশি তরুণ নির্মাতাদের নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। এক্সপজিশন অব ইয়াং ফিল্ম ট্যালেন্ট শিরোনামে প্রামাণ্যচিত্র প্রকল্প উন্নয়ন কর্মশালায় ১২ জন নির্মাতা অংশগ্রহণ করেন। এদের মধ্য থেকে ৭ জনকে পুরস্কৃত করা হয়। তারা হলেন- জিহান করিম, তাসমিয়া আফরিন মৌ, শাজনীন রহমান, মইদ মোহাম্মদ রুবেল, অনুশ্রী রায়, জগন্ময় পল ও শাহীনুর আখতার শাহীন।

এবারের উৎসবের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু ছিল বাংলাদেশের চলচ্চিত্র নির্মাতা কামার আহমেদ সইমনের মাস্টারক্লাস। চার ঘণ্টার এই সেশনে তিনি তার আনপাব্লিশড কাজ দেখান, তার ফিল্মমেকিং মেথডলজি, ফিকশন-ননফিকশনের সীমারেখা নিয়ে দর্শকের সাথে বাহাস করেন।

উৎসবের বিশেষ আয়োজন ছিল ফিল্মমেকার টক শিরোনামে ইন্ডিয়ার এক্লেইমড ফিল্মমেকার হাওবাম পবন কুমারের সাথে আলোচনা। যেখানে নির্মাতা চলচ্চিত্র নির্মাণের সাথে তার সম্পর্ক, নির্মাতার স্বাধীনতা নিয়ে ডকল্যাবের পরিচালক তারেক আহমেদের সাথে আলাপচারিতায় অংশ নেন।

সেইসাথে চলচ্চিত্র নির্মাতাদের নিয়ে Filmmakers in Crisis শিরোনামে নির্মাতার মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে একটি গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করেছি আমরা। ডকুমেন্টারি এমন একটি ফরম অব প্রাকটিস যেখানে নির্মাতাগন তাদের কাজের সাথে ব্যক্তিগত জীবনের সম্পর্ক নিয়ে কথা বলেন।

ওয়ার্কিং টাইটেল প্রদর্শনী
সম্পাদনা পর্যায়ে থাকা প্রামাণ্যচলচ্চিত্র নিয়ে ওয়ার্কিং টাইটেল প্রদর্শনীর আয়োজন করা হবে। এবছর ‘ওয়ার্কিং টাইটেল স্ক্রিনিং’ বিভাগে বাংলাদেশের নির্মাতাদের ৬টি নির্বাচিত প্রামাণ্য চলচ্চিত্র দেখানো হয়েছে। চলচ্চিত্রগুলো শুধু আমন্ত্রিত অতিথিগণ দেখতে পেরেছেন।

Link copied!