নোবেলের সঙ্গে সেই ছাত্রীর বিয়ের নির্দেশ আদালতের


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুন ১৯, ২০২৫, ০৯:৪২ এএম
নোবেলের সঙ্গে সেই ছাত্রীর বিয়ের নির্দেশ আদালতের
গায়ক মাইনুল আহসান নোবেল

গায়ক মাইনুল আহসান নোবেলের সঙ্গে ধর্ষণ মামলার বাদী (ইডেন মহিলা কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী) রেজিস্ট্রি কাবিনামামূলে বিবাহ সম্পাদনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। উভয়ের সম্মতি সাপেক্ষে এ বিয়ের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।

বুধবার (১৮ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নাজমিন আক্তারের আদালতে নোবেলের আইনজীবী একটি আবেদন করেন।

আবেদনে বলা হয়, মামলার আসামি নোবেল গত ২০ মে থেকে জেল হাজতে আটক আছেন। যেহেতু বাদিনী ও আসামির মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝির সৃষ্টি হওয়ায় বাদিনী মামলাটি করেছেন। মামলার বাদিনী ও আসামি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে ইচ্ছুক। সেহেতু জেলহাজতে আসামি ও বাদিনীর বিয়ের অনুমতি প্রদান করা একান্ত আবশ্যক। শুনানি শেষে আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করেন।

এর আগে গত ১৯ মে রাত ২টার দিকে ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টারের বাসা থেকে নোবেলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে বাড়িতে আটকে রেখে জোরপূর্বক ধর্ষণের মামলা করেন ইডেন মহিলা কলেজের প্রাক্তন ওই ছাত্রী।
 
পরদিন ২০ মে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাকে হাজির করে পুলিশ। এ সময় মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। 

অপরদিকে নোবেলের আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়া উদ্দিন আহমেদ তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
 
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বাদী ইডেন মহিলা কলেজে অধ্যয়নকালে ঢাকার মোহাম্মদপুরে একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। ২০১৮ সালে আসামির সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাদিনীর পরিচয় হয়। আসামি নোবেল তার সঙ্গে মোবাইল ফোনে প্রায় সময়ই কথাবার্তা বলতেন। একপর্যায়ে ২০২৪ সালের ১২ নভেম্বর মোহাম্মদপুরে বাদীর সঙ্গে দেখা করে তাকে নিজের স্টুডিও দেখানোর কথা বলে ডেমরা থানা এলাকায় নিজের বাসায় নিয়ে আসেন নোবেল। বাসায় নিয়ে আসার পর অজ্ঞাতনামা আরও দুই-তিনজনের সহায়তায় আসামি তাকে একটি রুমে আটক করে ধর্ষণ করে এবং সেই ধর্ষণের ভিডিও তার মোবাইল ফোনে ধারণ করেন। বাদী আসামির কথামতো তার বাসায় না থাকলে মোবাইল ফোনে ধারণকৃত ধর্ষণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন।

সাত মাস ধরে ছাত্রীটি ওই বাসায় বন্দি ছিলেন। এরপর সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নোবেলের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়, যেখানে তাকে একজন নারীকে সিঁড়ি দিয়ে টেনেহিঁচড়ে নামাতে দেখা যায়। ওই ভিডিও দেখে ছাত্রীর পরিবার তাকে চিনে ফেলেন এবং টাঙ্গাইল থেকে ঢাকায় এসে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন দেন। গত ১৯ মে রাত সাড়ে ৯টার দিকে পুলিশ ওই বাসায় অভিযান চালিয়ে সেই ছাত্রীকে উদ্ধার করে। অভিযানের সময় নোবেল পালিয়ে যান, তবে প্রযুক্তির সহায়তায় পরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

২০১৯ সালে ভারতের জি-বাংলা টিভির রিয়েলিটি শো ‘সা রে গা মা পা’তে অংশ নিয়ে তৃতীয় হয়ে আলোচনায় আসেন নোবেল। তবে নানা কর্মকাণ্ডে তাকে নিয়ে বিতর্কও বাড়তে থাকে।

বিনোদন বিভাগের আরো খবর

Link copied!