শোবিজ অঙ্গন এখন সরগরম আলোচনায়—অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী ও তার ভাই আলিসান চৌধুরীকে ঘিরে জারি হওয়া গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বিনোদন জগতে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে। ঢাকার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ থেকে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয় তুমুল আলোচনা-সমালোচনা।
প্রথমদিকে বিভ্রান্তির আবহ থাকলেও দ্রুত পরিস্থিতি সামাল দিতে উদ্যোগ নেন মেহজাবীন। গতকাল (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় তিনি আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন লাভ করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার আইনজীবী তুহিন হাওলাদার।
মামলার বাদী আমিরুল ইসলাম অভিযোগ করেছেন, দীর্ঘদিনের ব্যক্তিগত সম্পর্কের সুযোগ নিয়ে নতুন একটি ব্যবসায়ে অংশীদার হওয়ার কথা বলে তাকে প্রলোভন দেখান মেহজাবীন ও আলিসান।
তার দাবি, তিনি নগদ ও বিকাশের মাধ্যমে মোট ২৭ লাখ টাকা প্রদান করলেও বাস্তবে কোনো ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু হয়নি। টাকা ফেরত চাইলে বারবার সময়ক্ষেপণ করা হয়।
এজাহারে আরও উল্লেখ রয়েছে—১১ ফেব্রুয়ারি টাকা দাবি করলে তাকে ১৬ মার্চ হাতিরঝিলের একটি রেস্টুরেন্টে দেখা করতে বলা হয়। সেখানে গিয়ে তিনি অপমানিত হওয়ার পাশাপাশি জীবননাশের হুমকি পেয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন। এরপর আইনি সহায়তা নিয়ে তিনি ২৪ মার্চ মামলা দায়ের করেন।
মামলার ধারাবাহিকতায় নির্ধারিত তারিখে আদালতে অনুপস্থিত থাকার কারণে ৩ নভেম্বর তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়, যা ১০ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হয়।
ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পরই শিল্পীদের নিরাপত্তা, সম্মান ও মানসম্মত আচরণের বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হন অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ।
তিনি লিখেছেন, “শিল্পীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে হয়রানি বন্ধ হওয়া জরুরি। শিল্প এগিয়ে নিতে হলে শিল্পীদের সম্মান ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা উচিত।”
তার এই বার্তা প্রকাশের পর নেটিজেনদের মধ্যে নতুন করে বিতর্ক ও আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অনেকের মতে, শোবিজ অঙ্গনে বারবার শিল্পীরা আইনি জটিলতায় পড়লেও তাদের জন্য কোনো কার্যকর সুরক্ষা ব্যবস্থা দেখা যায় না—এ বিষয়ে এখনই সংশ্লিষ্টদের উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।


































