মাত্র ৩৪ বছর বয়সে না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন ওড়িশার জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী হুমান সাগর। একের পর এক সুপারহিট গানে শ্রোতাদের মন্ত্রমুগ্ধ করা এই তরুণ গায়কের অকাল প্রয়াণে ওড়িয়া সংগীত জগতে নেমে এসেছে গভীর শোকের ছায়া। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই সুরের মূর্ছনায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন হুমান।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত ১৭ নভেম্বর রাতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন শিল্পী। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিকল হয়ে যাওয়াই তার মৃত্যুর কারণ। বেশ কিছুদিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন এই তারকা।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, গায়কের শরীরে ফুসফুসের গুরুতর সংক্রমণ দেখা দেয়। এর সঙ্গে তার যকৃৎ (লিভার), হৃদযন্ত্র (হার্ট) ও কিডনিও বিকল হয়ে যায়। এমনকি, রক্ত জমাট বাঁধার সমস্যাও দেখা দিয়েছিল। মূলত, গত ১৪ নভেম্বর তাকে ভুবনেশ্বরের ‘এইমস’ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, যেখানে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
এই মেধাবী শিল্পীর মৃত্যু কেবল তার ভক্তদের জন্যই নয়, এটি ওড়িয়া সংগীত জগতের জন্যও এক বিরাট আঘাত বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
গায়কের প্রয়াণে শোক জানিয়েছেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝি। তিনি লেখেন, ‘তার প্রয়াণ সঙ্গীত ও চলচ্চিত্র দুনিয়ায় গভীর শূন্যতা তৈরি করল। পরিবারকে সমবেদনা জানাই এবং বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করি।’
অভিজিৎ মজুমদারের সুরে হুমানের কণ্ঠে গাওয়া ‘ইশক তু হি তু’ গানের টাইটেল ট্র্যাকের জন্য তিনি সর্বাধিক পরিচিতি লাভ করেন। তার সুরেলা কণ্ঠের জাদুতে মোহিত হয়েছে বহু শ্রোতা। কর্মজীবনে ওড়িয়া চলচ্চিত্রের জন্য তিনি উপহার দিয়েছেন একঝাঁক সুপারহিট গান।
ওড়িয়া গান ছাড়াও হুমান একটি হিন্দি অ্যালবামও প্রকাশ করেছিলেন, যার নাম ছিল ‘মেরা ইয়ে জাহান’। এছাড়া, ২০২৪ সালে মুক্তি পাওয়া ওড়িয়া অ্যালবাম ‘ভাগ্যরেখা’য় তিনি শেষবারের মতো শ্রোতাদের মুগ্ধ করেছিলেন। কিন্তু এই অ্যালবামটিই যে তার শেষ কাজ হয়ে থাকবে, তা হয়তো কেউ কল্পনাও করেনি।


































