• ঢাকা
  • বুধবার, ০১ মে, ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫

পাঠান প্রসঙ্গে সালমান খান, জানালেন পেছনের গল্প


তপন বকসি
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৩, ০৪:৫৫ পিএম
পাঠান প্রসঙ্গে সালমান খান, জানালেন পেছনের গল্প

রিলিজ হওয়ার দশ দিন পেরিয়ে ১২ দিনের মাথায় পৌঁছেছে ‘পাঠান’। এই ১২ দিনে ছবিটির রেকর্ড ভাঙার জোয়ার অব্যাহত। এই সময়ের মধ্যে সারা বিশ্বে ‘পাঠান’ এর উপার্জন গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৮৩২ কোটি টাকায়। তাই বলা যেতেই পারে বক্স অফিসে ‘পাঠান’ যেন প্রতিদিন নতুন নতুন ইতিহাস রচনা করেই চলেছে।

‘পাঠান’ নিয়ে প্রথমবার মুখ খুললেন ছবির অন্যতম সেরা আকর্ষণ সালমান খান।

সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) মুম্বাইয়ে সালমান বলেন, “শাহরুখ এবং আমাকে যদি একসঙ্গে কোনো ছবিতে ফিরতে হয়, তাহলে সেই ছবিকে বড় মাপের ছবি হতে হতো। ‘পাঠান’ হল সেই ধরনের বড় মাপের ছবি। অনেক বছর আগে যখন আমরা দুজনে একসঙ্গে ‘করণ অর্জুন’ ছবি করেছিলাম, সেটি ছিল ব্লকবাস্টার। পাঠানের বেলাতেও সেই একই কথা প্রযোজ্য।”

ছবির বর্ণনা দিয়ে সালমান বলেন, “যশরাজ ফিল্মসের স্পাই ইউনিভার্স ছবি হিসেবে ‘পাঠান’ এক অনন্য সাধারণ নজির তৈরি করেছে। আমি জানি দর্শক আমাদের দুজনকে একসঙ্গে বড় পর্দায় দেখতে পছন্দ করেন। আমি অত্যন্ত খুশি ‘পাঠান’ ছবিতে তারা আমাদের দুজনকে একসঙ্গে এত ভালবাসা উজাড় করে দিয়েছেন বলে। আমার মনে পড়ছে, ‘পাঠান’ ছবির চিত্রনাট্য নিয়ে প্রযোজক হিসেবে আদিত্য চোপড়া আমাকে যখন এই ছবির দৃশ্যগুলো ন্যারেট করেছিলেন। আর প্রযোজক হিসেবে শাহরুখ আর আমাকে একসঙ্গে বড় পর্দায় ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে তার দৃষ্টিভঙ্গি আমাকে বুঝিয়েছিলেন সেই দিনটির কথা।” 

সালমান বলেন, “আমি সেদিনই বুঝতে পেরেছিলাম প্রযোজক হিসেবে আদিত্য চোপড়া চেয়েছিলেন ‘পাঠান’ ছবিকে গ্যালারির মতো ব্যবহার করতে। সেই গ্যালারির প্রেক্ষাপটে আমার আর শাহরুখের অনুরাগীরা এবং হিন্দি ছবির দর্শকরা ঠিক যেভাবে আমাদের দুজনকে একসঙ্গে নতুন করে আবার দেখতে চান, সেইভাবে। সেদিন আদিত্য চোপড়ার সেই ন্যারেশন এবং দৃষ্টিভঙ্গি বোঝানো থেকেই আমি বুঝতে পেরেছিলাম আদিত্য চোপড়া আমাদের দুজনকে সিনেমার শিল্পী হিসেবে কতটা বোঝেন। শাহরুখ এবং আমার বড় পর্দার ভাবমূর্তিকে খুব ভালো করে চেনেন আদি। আমাদের দুজনের পার্সোনালিটিকে বিচার করেই আদি দৃশ্যগুলোকে যথার্থভাবে তৈরি করেছেন পর্দায়। সেইজন্যই দর্শকরা আমাদের এভাবে বড় পর্দায় দেখে এতটা খুশি হয়েছেন।”

সালমান আরও বলেন, “পরিচালক হিসেবে সিদ্ধার্থ আনন্দ সিকোয়েন্স অনুযায়ী আমাদের দুজনকে যেভাবে পর্দায় প্রেজেন্ট করেছেন, তা ব্রিলিয়ান্ট। আমি খুশি শাহরুখ এবং যশরাজ ফিল্মস ‘পাঠান’ ছবি থেকে যেভাবে একের পর এক রেকর্ড তৈরি করে চলেছেন তার জন্য। অতিমারির পর বড় পর্দার হলে আমরা দর্শকদের যে আবার ফিরিয়ে আনতে পেরেছি, তাই ভারতীয় ছবি হিসেবে এটি একটি বিরাট জয়ের ঘটনা বৈকি।”

Link copied!