• ঢাকা
  • সোমবার, ০২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

এবার পর্ন কাণ্ডে শিল্পা শেঠীর বাড়িতে তল্লাশি


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: নভেম্বর ২৯, ২০২৪, ০৩:১৪ পিএম
এবার পর্ন কাণ্ডে শিল্পা শেঠীর বাড়িতে তল্লাশি

বলিউড স্টার শিল্পা শেঠীর বিতর্ক যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না। মাস খানেক আগেই স্বামী রাজ কুন্দ্রার ১০০ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট। শিল্পা শেঠীর নামে থাকা বিলাসবহুল বান্দ্রার ফ্ল্যাটও হাতছাড়া হয়েছে। সেই আইনি জটের মাঝেই এবার পর্ন কাণ্ডে নতুন করে বিপাকে শিল্পার স্বামী রাজ কুন্দ্রা।

ভারতীয় গণমাধ্যমের  খবর, শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) সাতসকালে রাজ-শিল্পার বাড়িতে হানা দেয় ইডি। মুম্বাই এবং উত্তরপ্রদেশের ১৫টি এলাকায় চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেটের তদন্তকারীরা। বাদ যায়নি রাজ কুন্দ্রা-সহ সংশ্লিষ্ট মামলায় জড়িত বাকিদের বাসস্থানও।

 ‘হটশটস’ নামে প্রাপ্তবয়স্কদের অ্যাপ খোলার জন্য বছর খানেক আগেই হাজতবাস হয়েছিল রাজের। পাক্কা দু মাস জেলে কাটিয়ে তার পর জামিন পায়। সেই স্মৃতিকে অতীতের খাতায় ফেলে রেখে যখন স্বাভাবিক জীবনে ফেরার চেষ্টা করছেন রাজ-শিল্পা। তখনই ফের দুয়ারে হাজির ইডি।

আইপিএল বেটিং, নীলছবি মামলায় রাজ কুন্দ্রার নাম উঠেছিল আগেই। এবার ৬ হাজার ৬০০ কোটি টাকার বিটকয়েন পঞ্জি স্ক্যামের আর্থিক তছরুপ মামলাতেও নাম জড়িয়েছে রাজ কুন্দ্রার। 

 

 

যার জেরে স্থাবর-অস্থাবর সব মিলিয়ে রাজ-শিল্পার প্রায় প্রায় ১০০ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট। এর মধ্যে জুহুর সমুদ্রমুখী বিলাসবহুল বাংলোও রয়েছে। যে বাংলো কিনা অভিনেত্রী শিল্পা শেঠীর নামে কেনা। সেই তালিকায় জুহুর পাশাপাশি তারকাদম্পতির পুণের প্রাসাদোপম বাংলোও রয়েছে। এর আগে রাজ কুন্দ্রার নামে কিছু ইক্যুয়িটি শেয়ারও বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি ।

মহারাষ্ট্র এবং দিল্লি পুলিশের কাছে ভ্যারিয়েবল টেক প্রাইভেট লিমিটেড নামের একটি সংস্থার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ জমা পড়ে। অমিত ভরদ্বাজ, বিবেক ভরদ্বাজ, সিম্পি ভরদ্বাজ, মহেন্দ্র ভরদ্বাজ-সহ আরও বেশ কয়েক জনের নাম উঠে আসে অভিযুক্ত হিসেবে। বিটকয়েনে বিনিয়োগের নামে কোটি কোটি টাকা তোলেন অভিযুক্তরা। শুধুমাত্র ২০১৭ সালেই ৬,৬০০ কোটি টাকা তোলা হয়েছিল বলে জানা যায়। যাদের কাছ থেকে টাকা তোলা হয়, তাঁদের প্রতি মাসে বিটকয়েনে ১০ শতাংশ টাকা রিটার্ন দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়।

ক্রিপ্টো সম্পত্তি গড়ে তোলার লোভে অনেকেই টাকা ঢালেন ওই সংস্থায়। কিন্তু ওই সংস্থা সকলকে ঠকানোয় একাধিক মামলা দায়ের হয়। এই মামলার তদন্তে নেমে রাজের সঙ্গে ওই সংস্থার সংযোগ খুঁজে পায় ইডি।

জানা গিয়েছে, অমিতের থেকে ২৮৫টি বিটকয়েন পেয়েছিলেন রাজ। ইডি সূত্রে খবর, গোটা দুর্নীতি চক্রের মাথা ছিলেন অমিত। নিরীহ মানুষকে টোপ দিয়ে কোটি কোটি টাকা আদায় করেছিলেন তিনি। সেই বিটকয়েনই পরে রাজের কাছে যায়, বর্তমানে যার বাজারদর প্রায় ১৫০ কোটি টাকা। সেই প্রেক্ষিতেই রাজের ৯৮ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। হাজার কোটির দুর্নিতি, ইডির মামলা, যাবতীয় আইনি জটের মাঝেই গত আগস্ট মাসে তিন কোটি টাকার বিলাসবহুল গাড়ির কিনে ফের চর্চার শিরোনামে এসেছিলেন রাজ কুন্দ্রা এবং শিল্পা শেঠী।

Link copied!