• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১ পৌষ ১৪৩২, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

‘বিনোদনের নামে যেভাবে হিংসাকে স্বাভাবিক করে তোলা হচ্ছে, তাতে আমি ভীষণ বিরক্ত’


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৬, ২০২৫, ০৪:৩৩ পিএম
‘বিনোদনের নামে যেভাবে হিংসাকে স্বাভাবিক করে তোলা হচ্ছে, তাতে আমি ভীষণ বিরক্ত’

আদিত্য ধর পরিচালিত সিনেমা ‘ধুরন্ধর’ বক্স অফিসে ভালো ব্যবসা করলেও ছবিটির বিষয়বস্তু নিয়ে বিতর্ক থামছেই না। সমালোচকদের পাশাপাশি এবার প্রকাশ্যে আপত্তি তুললেন অভিনেত্রী রাধিকা আপ্তে। তবে সিনেমায় হিংসা ও রক্তারক্তির আধিক্য নিয়ে প্রশ্ন তুলতেই উল্টো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রলের শিকার হতে হলো তাঁকেই।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ভারতীয় সিনেমার বর্তমান প্রবণতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন রাধিকা। তাঁর প্রশ্ন—করোনার পরবর্তী সময়ে দর্শক টানতে গিয়ে কি বিনোদনের নামে অতিরিক্ত হিংসা ও নির্মমতা দেখানোই এখন মূল অস্ত্র হয়ে উঠেছে?

রাধিকার মতে, আজকাল গল্প বলার নামে দর্শককে চমকে দেওয়াই যেন একমাত্র লক্ষ্য। অভিনেত্রী বলেন, “বিনোদনের নামে যেভাবে হিংসাকে স্বাভাবিক করে তোলা হচ্ছে, তাতে আমি ভীষণ বিরক্ত। এমন একটি পৃথিবীতে আমি আমার সন্তানকে বড় করতে চাই না, যেখানে হিংসাত্মক দৃশ্যকেই বিনোদন বলে চালানো হয়। আমি ব্যক্তিগতভাবে এটা মেনে নিতে পারি না।”

তিনি আরও বলেন, একটি গল্প বলার জন্য অমানবিক নির্যাতন বা খুনোখুনির দৃশ্য দেখানো জরুরি নয়। “কেউ কাউকে কুচি কুচি করে কাটছে—এই দৃশ্য দেখালেই যে গল্প বলা হলো, এমনটা আমি বিশ্বাস করি না। গল্প বলার আরও সংবেদনশীল ও মানবিক উপায় আছে। অথচ আজকাল সিনেমায় শক ভ্যালুই মুখ্য হয়ে উঠেছে,” বলেন রাধিকা।

অভিনেত্রীর আশঙ্কা, এই ধরনের সিনেমা সমাজে গভীর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। শুধু নির্মাতারা নয়, দর্শকরাও নির্বিচারে এসব গ্রহণ করছে দেখে তিনি আরও হতাশ বলে জানান।

‘ধুরন্ধর’ সিনেমার কিছু দিক নিয়ে প্রশ্ন তোলার পরই রাধিকার বক্তব্য ঘিরে শুরু হয় সমালোচনা। সামাজিক মাধ্যমে তাঁকে কটাক্ষ করে নানা পোস্ট ছড়িয়ে পড়ছে। অনেকেই তাঁর অভিনীত ‘রক্তচরিত্র’ কিংবা ‘সেক্রেড গেমস’-এর উদাহরণ টেনে অভিনেত্রীর অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন।

উল্লেখ্য, এর আগেও ‘ধুরন্ধর’ নিয়ে মন্তব্য করে ট্রলের মুখে পড়েছিলেন হৃতিক রোশন। পরিস্থিতি সামাল দিতে পরে তাঁকে ব্যাখ্যামূলক পোস্টও দিতে হয়েছিল। এবার একই অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হলেন রাধিকা আপ্তে।

তবে ট্রলের মধ্যেও নিজের অবস্থানে অনড় অভিনেত্রী। তাঁর মতে, জনপ্রিয়তা বা বক্স অফিসের সাফল্যের অজুহাতে সহিংসতাকে স্বাভাবিক করে তোলা কখনোই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।

Link copied!