দেড় দশকের ক্যারিয়ারে তেলেগু, কন্নড়, মালয়ালম, হিন্দি ও বাংলা—পাঁচ ভাষার সিনেমায় অভিনয় করে নিজের জাত চিনিয়েছেন অভিনেত্রী শ্রদ্ধা দাস। তবে ঢাকার দর্শকদের কাছে তিনি বিশেষভাবে আলোচনায় এসেছিলেন সাত বছর আগে, একটি যৌথ প্রযোজনার সিনেমায় সাহসী দৃশ্যে অভিনয়ের কারণে।
বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত ‘বাদশা’ সিনেমায় কলকাতার সুপারস্টার জিতের বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন শ্রদ্ধা। সিনেমাটিতে নুসরাত ফারিয়াও ছিলেন। তবে মুক্তির পর সিনেমায় শ্রদ্ধার একটি শয্যাদৃশ্য এবং বিকিনি পরা দৃশ্য নিয়ে ঢাকায় তখন ব্যাপক বিতর্কের ঝড় ওঠে। সেই বিতর্ক তাকে ঢালিউডের দর্শকদের মাঝে ব্যাপকভাবে পরিচিত করে তোলে।
মুম্বাইয়ের এক বাঙালি পরিবারে জন্ম নেওয়া শ্রদ্ধার বাবা একজন ব্যবসায়ী ও মা গৃহিণী। ২০০৮ সালে তেলেগু সিনেমা ‘সিদ্দু ফ্রম সাইকাকুলাম’ দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক ঘটে তার। অভিষেকের পরপরই পরপর ছয়টি সিনেমায় নাম লিখিয়ে নিজের শক্ত অবস্থান জানান দেন তিনি।
গৎবাঁধা ছক ভেঙে ভিন্নধর্মী চরিত্রে অভিনয় করাই শ্রদ্ধার বৈশিষ্ট্য। কখনো করপোরেট প্রতিষ্ঠানের কর্মী, কখনো সাইকো প্রেমিকা, আবার কখনো দৃঢ় স্বভাবের পুলিশ সদস্য—সব চরিত্রেই নিজেকে মেলে ধরেছেন তিনি। বলিউডে ‘দিল তো বাচ্চা হ্যায় জি’, ‘সনম তেরি কসম’ এবং নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকীর সঙ্গে ‘বাবুমশাই বন্দুকবাজ’-এর মতো জনপ্রিয় সিনেমায় অভিনয় করেছেন শ্রদ্ধা।
বর্তমানে ওটিটি প্ল্যাটফর্মেও দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন এই অভিনেত্রী। নেটফ্লিক্সের আলোচিত সিরিজ ‘খাকি চ্যাপ্টার ওয়ান’ ও ‘খাকি চ্যাপ্টার টু’-তে তার উপস্থিতি প্রশংসিত হয়েছে।
সর্বশেষ মাসখানেক আগে জিও হটস্টারে মুক্তি পাওয়া ওয়েব সিরিজ ‘সার্চ: দ্য নায়না মার্ডার কেস’-এ রক্ষা পাতিল নামের এক তরুণীর চরিত্রে অভিনয় করে এখন আলোচনার তুঙ্গে রয়েছেন শ্রদ্ধা। সিরিজটিতে এক রাজনৈতিক নেতার গোপন প্রেমিকার চরিত্রে তার অভিনয় দর্শকদের নজর কেড়েছে।































