• ঢাকা
  • রবিবার, ০৯ নভেম্বর, ২০২৫, ২৪ কার্তিক ১৪৩২, ১৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

এক সময় আমি এই এদিকে আয়, এই পানি দে, এই আর্টিস্টের স্যান্ডেল মোছ—এসব অর্ডার পালন করতাম’


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: নভেম্বর ৯, ২০২৫, ০৮:১৬ পিএম
এক সময় আমি এই এদিকে আয়, এই পানি দে, এই আর্টিস্টের স্যান্ডেল মোছ—এসব অর্ডার পালন করতাম’

অভিনেতা আরিফিন শুভ বাংলাদেশের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম জনপ্রিয় মুখ। তবে সাফল্যের এ পর্যায়ে পৌঁছাতে তাঁর পথটা ছিল একেবারেই সহজ নয়। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে নিজের শুরুর দিনের গল্প অকপটে তুলে ধরেছেন তিনি—যা শুনে অনেকেই বিস্মিত।

শুভ জানিয়েছেন, মিডিয়ায় তাঁর যাত্রা শুরু হয়েছিল নায়ক হিসেবে নয়, বরং প্রডাকশনের অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে। একসময় শুটিং সেটে পরিচালকের নির্দেশ মানা, শিল্পীদের প্রয়োজন মেটানো—এসবই ছিল তাঁর কাজ। নিজের সেই সময়ের কথা বলতে গিয়ে অভিনেতা বলেন, “আমি এক সময় প্রডাকশনে অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করতাম। মানে শুটিংয়ে ডিরেক্টর বা আর্টিস্ট যা বলতেন, তা পালন করতাম—এই পানি দে, এই স্যান্ডেলটা মোছ—এসবই আমার দায়িত্ব ছিল।”

সেই সময়ের একটি অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে শুভ হাস্যরসে বলেন, “একটা বিজ্ঞাপনে কাজ করেছিলাম, যেখানে আমি ছিলাম ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চা! কিন্তু আমার স্বপ্ন সব সময়ই বড় ছিল। সেই জায়গা থেকেই ধীরে ধীরে উঠে আজ আমি নায়ক হয়েছি।”

আরিফিন শুভর ক্যারিয়ার শুরু মডেলিং দিয়ে, এরপর নাটকে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে ধীরে ধীরে পরিচিতি পান। ২০১৩ সালে তিনি বড় পর্দায় অভিষেক করেন ‘ভালোবাসা জিন্দাবাদ’ ছবির মাধ্যমে। এরপর ‘ছুঁয়ে দিলে মন’, ‘ঢাকা অ্যাটাক’, ‘মিশন এক্সট্রিম’–এর মতো হিট সিনেমায় অভিনয় করে নিজেকে প্রমাণ করেন একজন বহুমাত্রিক অভিনেতা হিসেবে।

সর্বশেষ তিনি আলোচনায় আসেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনীভিত্তিক সিনেমা ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’-এ প্রধান চরিত্রে অভিনয় করে। শ্যাম বেনেগালের পরিচালনায় নির্মিত এ ছবিতে শুভর অভিনয় ব্যাপক প্রশংসিত হয় দেশ-বিদেশে।

নিজের দীর্ঘ পথচলার প্রসঙ্গে শুভ বলেন, “নায়ক হওয়ার পেছনে কোনো শর্টকাট ছিল না। আমি নিচ থেকে শুরু করেছি, অনেক সংগ্রাম করেছি। কিন্তু সেই সময়গুলোই আজ আমাকে শক্ত করেছে।”

Link copied!