• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর, ২০২৫, ২২ আশ্বিন ১৪৩২, ১৬ রবিউস সানি ১৪৪৭

শুরুতে অবশ্য একটু ভীত ছিলাম: রুক্মিণী


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: অক্টোবর ৭, ২০২৫, ০৫:১৭ পিএম
শুরুতে অবশ্য একটু ভীত ছিলাম: রুক্মিণী

দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমায় আগে থেকেই পরিচিত মুখ রুক্মিণী বসন্ত। তবে সাম্প্রতিক কন্নড় ছবি ‘কানতারা: আ লেজেন্ড–চ্যাপ্টার ১’ তাঁকে পৌঁছে দিয়েছে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিসরে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। রাজকন্যা কঙ্কাবতীর চরিত্রে তার প্রভাবশালী উপস্থিতি নজর কেড়েছে দর্শক ও সমালোচকদের।

প্রথম ছবি ‘সপত সগরদাচে এলো’ দিয়েই ঋষভ শেট্টির দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন রুক্মিণী। সেই সূত্রেই আসে ‘কানতারা’-র প্রিকুয়েলে অভিনয়ের প্রস্তাব। অভিনেত্রীর কথায়, “প্রথমে বিশ্বাসই করতে পারিনি। এটা যেন স্বপ্নপূরণের মতো লাগছিল। শুরুতে ভয় লাগলেও, ঋষভ স্যারের ভরসা আমায় আত্মবিশ্বাস দিয়েছে।”

২০২২ সালে মুক্তি পাওয়া ‘কানতারা’ যখন বক্স অফিসে তুমুল সাফল্য পায়, তখনই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল এই গল্পের আরও অধ্যায় আসবে। সেই প্রত্যাশার ভার নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রিকুয়েল ‘চ্যাপ্টার ১’। আর নতুন সদস্য হিসেবেই এতে যুক্ত হয়েছেন রুক্মিণী।

“প্রথম অধ্যায় সফল হলে, দ্বিতীয়টিতে চাপ থাকেই,” বলেন রুক্মিণী। “তবে চাপকে আমরা দায়িত্ব হিসেবে নিয়েছি। পুরো টিম এত আন্তরিক ছিল, কাজটা আর কষ্ট মনে হয়নি। বরং সবাই মিলে নিজেদের সেরাটা তুলে ধরেছি।”

চরিত্রের জন্য গভীর প্রস্তুতি

কঙ্কাবতী চরিত্রে ঢোকার জন্য তাঁকে পেরোতে হয়েছে নানা প্রস্তুতির ধাপ। করাবলি সংস্কৃতি, ভূতপ্রেত ও স্থানীয় দেবদেবীর পূজা-পদ্ধতি—সবই শিখেছেন একেবারে গোড়া থেকে। “এই সিনেমা শুধু গল্প নয়, এটি একটি সংস্কৃতিকে তুলে ধরছে। তাই আমাকে সেই সংস্কৃতির সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত হতে হয়েছে,” জানান তিনি।

তবে সবচেয়ে কঠিন অংশ ছিল শারীরিক ভাষা আয়ত্ত করা। কঙ্কাবতীর চলাফেরা, অভিব্যক্তি, দেহভঙ্গি—সবই চরিত্রটির মূল ভিত্তি। সেই দিকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন রুক্মিণী।

নতুন রূপে

‘কানতারা’-র অভিজ্ঞতার পর রুক্মিণী এখন আরও প্রস্তুত নানা ধরনের চরিত্রে অভিনয়ের জন্য। সামনেই আসছে তাঁর নতুন ছবি ‘টক্সিক’। একান্ত সাক্ষাৎকারে বলেন, “গত এক বছরে যেসব ছবিতে কাজ করেছি, সব একেবারেই আলাদা ধাঁচের। নিজের সীমা পেরিয়ে বারবার নতুন করে আবিষ্কার করছি নিজেকে। বুঝেছি কোথায় আমার শক্তি, কোথায় দুর্বলতা।”

অভিনয় নয়, এটি আত্ম-অন্বেষণের যাত্রা

রুক্মিণীর কাছে প্রতিটি চরিত্র মানে শুধু অভিনয় নয়, বরং নিজেকে নতুনভাবে জানার এক সফর। ‘কানতারা: আ লেজেন্ড–চ্যাপ্টার ১’-এর মতো একটি বিশাল ক্যানভাস তাঁকে সুযোগ দিয়েছে নিজের গভীরতা উপলব্ধি করার। আর সেই উপলব্ধির ভিত্তিতেই তাঁর বিশ্বাস— “দায়িত্ব কখনোই বোঝা নয়, বরং এক ধরনের প্রেরণা।”

এই দৃষ্টিভঙ্গিই তাঁকে আলাদা করে তুলেছে। সামনেও রুক্মিণী নিজেকে নতুন নতুন চরিত্রে ভেঙে গড়ে নিতে চান—আর প্রতিবারই নিজেকে ছাড়িয়ে যেতে চান।

Link copied!