২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষার আবেদন থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আয় হয়েছে প্রায় ২৪ কোটি টাকা। ১৫ মার্চ থেকে শুরু হয়ে তিনটি ইউনিটের জন্য দুই ধাপে এই আবেদন কার্যক্রম চলে ২ মে পর্যন্ত।
প্রাথমিক পর্যায়ে আবেদন থেকে আয় হয়েছে ১ কোটি ২০ লাখ ৬০ হাজার ১৫ টাকা; অন্যদিকে চূড়ান্ত পর্যায়ের আবেদনে তিনটি ইউনিট থেকে ১০ শতাংশ সার্ভিস চার্জসহ আয় হয়েছে ২২ কোটি ৮৯ লাখ ৬৯ হাজার ৪০০ টাকা। ফলে প্রাথমিক ও চূড়ান্ত দুই ধাপে আবেদন ফরম বিক্রি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের আয় হয়েছে সর্বমোট ২৪ কোটি ১০ লাখ ২৯ হাজার ৪১৫ টাকা। অনলাইন সার্ভিস চার্জ ও ব্যাংক পেমেন্ট সার্ভিস চার্জ বাদ দিলে এই আয়ের পরিমাণ ২২ কোটি ২ লাখ ১৪ হাজার ১৫ টাকা। সার্ভিস চার্জ থেকে প্রাপ্ত অর্থের একটি অংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেন্টারের উন্নয়ন ফান্ডে জমা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেন্টার সূত্রে জানা গেছে, ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে প্রাথমিক পর্যায়ে তিনটি ইউনিটে আবেদন জমা হয় ৪ লাখ ১ হাজার ৪১৪টি। একক আবেদন সংখ্যা ছিল ২ লাখ ১৯ হাজার ২৭৩টি। প্রাথমিক পর্যায়ে আবেদন ফি ধার্য করা হয়েছিল ৫৫ টাকা; সেখানে একজন ভর্তিচ্ছু এই ফি দিয়েই ‘এ’, ‘বি‘, ‘সি’ এই তিনটি ইউনিটে আবেদনের সুযোগ পেয়েছিল।
অন্যদিকে চূড়ান্ত পর্যায়ে ‘এ‘ ইউনিটে ৭২ হাজার ৫০টি, ‘বি’ ইউনিটে ৩০ হাজার ৬৭৪টি এবং ‘সি’ ইউনিটে জমা পড়ে ৭৫ হাজার ৮৫০টি আবেদন। ১০% সার্ভিস চার্জসহ চূড়ান্ত পর্যায়ে ‘এ’ ও ‘সি’ ইউনিটের জন্য আবেদন ফি ধার্য করা হয় ১৩২০ টাকা এবং ‘বি’ ইউনিটের জন্য ধার্য করা হয় ১১০০ টাকা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, “ভর্তি কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অনলাইনে আবেদন থেকে প্রাপ্ত অর্থ খরচ করা হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে, গত শিক্ষাবর্ষে ইউনিট সমন্বয়কারী ও পরিদর্শকের সম্মানী এবং কর্মচারীদের পারিতোষিক যা ছিল, এবারও সেটিই বহাল রাখা হয়েছে।”
আপনার মতামত লিখুন :