ফ্ল্যাগশিপ পররাষ্ট্র নীতির আলোকে ন্যায্য আর বহু-মেরুর নতুন বিশ্ব ব্যবস্থা গঠনে কাজ করে যাচ্ছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। এতে শতভাগ সংহতি জানিয়েছেন পুরনো বন্ধু দেশ রাশিয়া।
গেল বছরের অক্টোবরে চীনের বেইজিংয়ে ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ফোরামে’ সম্মানিত অতিথি ছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। যেখানে তিনি চীনের সঙ্গে তার দেশের গভীর সম্পর্কের কথা বলেছিলেন।
টানা পঞ্চমবারের মতো রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর পুতিন প্রথম বিদেশ সফরে গেলেন পুরনো বন্ধু দেশ চীনে। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সকালে বেইজিংয়ে পুতিনকে স্বাগত জানানো হয়। প্রায় সাত মাস আগে যেখানে শি আর পুতিন মিলে নতুন বিশ্ব ব্যবস্থা গড়ে তোলার যৌথ অঙ্গীকার করেছিলেন।
চীনে দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফর শুরুর আগেই পুতিন অবশ্য দুই দেশের সম্পর্কের মাত্রাকে ‘নজিরবিহীন’ আখ্যা দিয়েছেন। কূটনীতিবিদরা বলছেন, এবারের দুই নেতার সাক্ষাৎ ভূরাজনৈতিক দিক দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিদ্বন্দ্বী চীন ও রাশিয়ার সম্পর্ক পৌঁছাবে আরও গভীরে।
তবে রুশ প্রেসিডেন্ট এমন একটা সময়ে চীন সফরে গেলেন যার কয়েকদিন আগেই ইউক্রেনের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য খারকিভে রুশ সেনারা বড় ধরনের হামলা চালিয়েছে। ইউক্রেনে হামলা বা অভিযানে একচ্ছত্র সমর্থক হিসেবে বরাবরই পাশে থাকছে চীন। ফলে আগের চেয়ে আরও গুরুত্বপূর্ণ মিত্র হয়ে উঠেছে চীন।
মূলত, রাশিয়ার পাশে থাকতে চীনের এমন ভূমিকায় সবচেয়ে বেশি অসহনীয় মনোভাবের হয়ে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্ররা। তাদের কাছে যেটা রেডলাইন (চূড়ান্ত সীমা) হয়ে উঠেছে। এমন পরিস্থিতিতে পুতিনের চীন সফর ভীষণ আগ্রহ উদ্দীপক পশ্চিমাদের জন্য।
এ ব্যাপারে পুতিন বলেছেন, ‘এক জটিল আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আমাদের সম্পর্ক এখনো দৃঢ় হচ্ছে।’
অন্যদিকে, মার্কিন নেতৃত্বাধীন বিশ্বব্যবস্থার মোড় ঘুরিয়ে নতুন আরেক বিশ্ব ব্যবস্থা গড়ে তুলতে বেইজিং এখনও মস্কোকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করে। তাদের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ছে। আবার রাশিয়ার সস্তা জ্বালানি চীনের জন্য সুবিধা এনে দিচ্ছে।