• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর, ২০২৪, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১, ৫ রবিউস সানি ১৪৪৬

শাবিতে উদযাপন হবে না নববর্ষ


শাবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত: এপ্রিল ১২, ২০২৩, ০৫:৩৩ পিএম
শাবিতে উদযাপন হবে না নববর্ষ

ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় এবারও বাংলা নববর্ষ উদযাপন করছে না শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। করোনা মহামারি ও রমজানের ছুটি থাকায় গত তিন বছর ধরে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে এ দিবসটি উদযাপন করা হয়নি।

বুধবার (১২ এপ্রিল) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মো. ফজলুর রহমান এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ফজলুর রহমান বলেন, রমজান মাসে ছুটি থাকায় এবার বাংলা নববর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ে উদযাপন করা হচ্ছে না।

নববর্ষ উদযাপনের আনন্দের কথা উল্লেখ করে পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ফারহানা রশিদ ঈরিন বলেন, “ক্যাম্পাসে নববর্ষ উদযাপন করার সুযোগ একবারই পেয়েছিলাম। টেন্ট বসানো, পিঠা উৎসব ও শোভাযাত্রাসহ বিভিন্ন কর্মসূচিতে সিনিয়র জুনিয়রদের অংশগ্রহণে খুবই আনন্দের সঙ্গে দিনটি উদযাপন করেছি। তবে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় এবারও দিনটি উদযাপন করা হচ্ছে না।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী দ্বৈপায়ন দাস অনন্য বলেন, “বাংলা নববর্ষ আমাদের বাঙালি সংস্কৃতির কথা মনে করিয়ে দেয়। আমরা এখন পাশ্চাত্যের সংস্কৃতির দিকে ধাবিত হচ্ছি। বাঙালি সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে প্রতিবছর বাংলা নববর্ষ উদযাপন করা হয়। তবে এ বছর রমজানের পবিত্রতা রক্ষার্থে দেশব্যাপী এ অনুষ্ঠান উদযাপনে সংকীর্ণতা দেখা দিয়েছে। আশা করি, ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয়ে নববর্ষ উদযাপন করতে পারব।”

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক আমিনা পারভীন বলেন, “করোনার কারণে বিভিন্ন প্রোগ্রামাদি আমরা পালন করতে পারিনি। তবে করোনার পর আমরা আবার আগের জায়গায় বিশ্ববিদ্যালয়কে ফিরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি। বিশ্ববিদ্যালয় দিবস, জাতীয় উৎসবসহ বিভিন্ন উৎসব আমরা পালন করে যাচ্ছি। তবে সঙ্গত কারণেই এবার নববর্ষ উদযাপন করা সম্ভব হচ্ছে না। রমজান মাস থাকায় আমরা সেটা পারছি না। এর আগে আমরা নববর্ষ উদযাপন করেছি যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে থেকেও অনেক মানুষ আসতো। আশা করি, আগামীতে এ ধরনের পরিস্থিতি না থাকলে আমরা আবারও জাকজমকভাবে দিনটি উদযাপন করব।“

বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে টেন্ট স্থাপন, বায়োস্কোপ প্রদর্শন, পুতুলনাচ, আলোকচিত্র প্রদর্শনী, আলপনা অঙ্কন, বাউল গানের আসর ও ঘুড়ি উৎসবের আয়োজন করা হত। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রা, দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিনটি উদযাপন করা হত।

Link copied!