• ঢাকা
  • বুধবার, ০১ মে, ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

জাবিতে হলের তালা ভেঙে রুম দখলের চেষ্টা, শিক্ষার্থীকে মারধর


জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মার্চ ১৯, ২০২৪, ০৫:৩৯ পিএম
জাবিতে হলের তালা ভেঙে রুম দখলের চেষ্টা, শিক্ষার্থীকে মারধর

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ হলের তালা ভেঙে এবং এক শিক্ষার্থীকে মারধর করে রুম দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের তিন কর্মীর বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) রাত আড়াইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ হলে এই ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম তানজিম আহমেদ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের ৫০তম আবর্তনের শিক্ষার্থী এবং শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।

অভিযুক্তরা হলেন– ইংরেজি বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী অনুরাগ দাস, ইউআরপি ৪৯তম ব্যাচের রাফি রাহমান এবং আইআইটি ৪৯তম ব্যাচের আরমানুল আলম। তারা তিনজনই বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কর্মী ও সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেলের অনুসারী।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত দুইটার দিকে অনুরাগের নেতৃত্বে রাফি ও আরমানের সঙ্গে কয়েকজন মিলে তাজউদ্দিন আহমেদ হলের ৮০৮ নম্বর রুমের তালা ভাঙতে যান। ওই রুমে এলোটেড শিক্ষার্থীরা তালা ভাঙতে বাধা দিলে হলের প্রাধ্যক্ষের নির্দেশে তালা ভাঙতে এসেছেন বলে জানান অভিযুক্তরা।

ভুক্তভোগী তানজিম আহমেদ বলেন, “রাফি সন্ধ্যার দিকে কয়েকজন নিয়ে আমাদের রুমে তালা ভাঙতে আসে। তারপর তাদের সঙ্গে কথা বলার পর রাফি বলে বিষয়টা দেখছি। এরপর রাতের দিকে আবার তালা ভাঙতে আসে।” এসময় রাফির ছুড়ে মারা কাপের আঘাতে তানজিমের পা কেটে যায় বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত অনুরাগ বলেন, “আমরা তথ্য পেয়েছিলাম ওই রুমে কেউ থাকে না। তাই আমরা রুমের তালা ভেঙে ভেতরে যাই। রুমে কেউ থাকে না এটা ভুল তথ্য ছিল। একটা ভুল বোঝাবুঝি ছিল। তালা ভাঙার বিষয়টা আমার ভুল হয়েছে, এটা যদি অপরাধ হয়ে থাকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যে সিদ্ধান্ত নেবে মাথা পেতে নেব।”

রাফি রাহমান বলেন, “কয়েকজন শিক্ষার্থী রুম পাচ্ছিল না। আমরা জানতে পারি ৮০৮ নাম্বার রুম খালি ছিল। তাই আমরা ওদের রাখার জন্য তালা ভেঙেছিলাম। মারধরের ঘটনা ঘটেনি।” এ ঘটনায় আরেক অভিযুক্ত আরমানের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও তাজউদ্দিন আহমদ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক আলমগীর কবির বলেন, “আমি বিষয়টি জানার পর দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই এবং রাতেই ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে দিয়েছি। তিন কর্মদিবসের মধ্যে রিপোর্ট প্রকাশ করা হবে। রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় আইনে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।”

শিক্ষা বিভাগের আরো খবর

Link copied!