ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) স্যার এ এফ রহমান হলের ক্যান্টিনে রান্না করা খাবারে বড়শি মিলেছে। প্রত্যক্ষদর্শীর এক শিক্ষার্থীর অভিযোগ এর আগেও তার এক সহপাঠী খাবারের মধ্যে বড়শি পেয়েছিলেন। এদিকে ক্যান্টিন মালিক দুষছেন বিদ্যুৎ না থাকাকে।
বুধবার (১২ অক্টোবর) হলে খাবার খেতে এলে খাবার খাওয়ার এক পর্যায়ে মাছের সঙ্গে বড়শি পান হলটির এক আবাসিক শিক্ষার্থী।
প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থী আরাফ রহমান রুদ্র বলেন, “দুপুরে আমরা খেতে বসলে এক ভাইয়ের খাবারে আস্ত একটি বড়শি পাওয়া যায়। এর আগেও আমার এক বন্ধু দুটি বড়শি পায়। পরে বিষয়টি হলের ক্যান্টিনের মালিক বাবুল মিয়াকে বললেও তিনি তেমন পাত্তা দেননি। ক্যান্টিনের খাবারের অবস্থা অনেক খারাপ। বারবার বলার পরও খাবারের মানের কোনো উন্নতি দেখা যায়নি।”
ক্যান্টিন মালিক বাবুল মিয়া খাবারে বড়শি পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, “বিদ্যুৎ না থাকার কারণে ভুলে হয়তো এমনটি হয়ে গেছে। এত মানুষের খাবার তৈরি করতে গিয়ে একটু এদিক-সেদিক হয়। তারপরও আগামীতে আরও সতর্ক থাকব।”
এদিকে হলটির শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ক্যান্টিনের খাবার দিনকে দিন খারাপ হচ্ছে। দামের সঙ্গে মানের কোনো সামঞ্জস্যতা নেই। বারবার বলার পরও ক্যান্টিনের ম্যানেজার বাবুল মিয়া কোন কর্ণপাতই করেনি। এসব বিষয়ে হল প্রশাসনকে অবহিত করলেও কোনো ধরনের পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।
এ ব্যাপারে স্যার এ এফ রহমান হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মুনেম শাহরিয়ার মুন বলেন, “আমরা বিষয়টি জানতে পেরেছি। আমরা ক্যান্টিন মালিককে নিয়ে প্রভোস্ট স্যারের সঙ্গে বসব। আশা করি সেখানে একটি সমাধান আসবে।”
স্যার এ এফ রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কে এম সাইফুল ইসলাম খান বলেন, “শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে বিষয়টি জেনেছি। ক্যান্টিন মালিককে ডেকে কথা বলব। ক্যান্টিনের পরিবেশ ও খাবারের মান নিয়ে কোনো আপস করা হবে না।”