• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর, ২০২৪, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১, ৬ রবিউস সানি ১৪৪৬
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

প্রয়াত রাহাত খান পেলেন সম্মাননা, বক্তৃতা দিলেন সলিমুল্লাহ খান


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৮, ২০২২, ০১:৪১ পিএম
প্রয়াত রাহাত খান পেলেন সম্মাননা, বক্তৃতা দিলেন সলিমুল্লাহ খান
ঢাবিতে আতাউস সামাদ স্মারক ট্রাস্ট ফান্ডের অনুষ্ঠান। ছবি: বিধান রিবেরু

আতাউস সামাদ স্মারক ট্রাস্ট ফান্ডের পক্ষ থেকে আজীবন সম্মাননা পেলেন প্রয়াত সাংবাদিক ও লেখক রাহাত খান। বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ আয়োজিত স্মারক বক্তৃতা ও বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে এই সম্মাননা জানানো হয়। রাহাত খানের পক্ষে সম্মাননা গ্রহণ করতে উপস্থিত ছিলেন তাঁর স্ত্রী অপর্ণা খান।
 

অনুষ্ঠানে স্মারক বক্তৃতা দেন লেখক ও অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান। “লিতুরাতের, সিনথোম, ট্রুথ: রিডিং লাকঁ উইদ গার্সিয়া মার্কেজ’ শিরোনামের লিখিত বক্তৃতাকে সামনে রেখে বাংলায় আলোচনা করেন সলিমুল্লাহ খান। এ সময় তিনি মার্কেজের সাহিত্যচর্চা ছাড়াও, সাংবাদিকতা ও সাহিত্যের সঙ্গে সত্যের সম্পর্ক নিয়ে বক্তৃতা করেন। ফরাসি মনোবিশ্লেষক জাক লাকাঁর উদ্ধৃতি দিয়ে সলিমুল্লাহ খান বলেন, “সত্যের গঠন ফিকশনের মতোই।” 
 

সলিমুল্লাহ খানের বক্তব্যের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বক্তব্য দেন। তিনি সলিমুল্লাহ খানের বক্তব্যের প্রশংসা করে বলেন, “এই ধরনের বক্তৃতা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সমৃদ্ধ করবে।” এ সময় তিনি সাংবাদিক এবিএম মূসা, আতাউস সামাদ ও রাহাত খানের প্রতিও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিক আতাউস সামাদের নামে ফান্ড গঠনে আর্থিক অনুদান দিয়েছিলেন প্রয়াত সাংবাদিক এবিএম মূসা।
 

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবুল মনসুর আহাম্মদের সভাপতিত্বে এরপর এমএসএস একাদশ ব্যাচের পাঁচ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেওয়া হয়। বৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন মো. আব্দুল্লাহ, সুস্মিতা চক্রবর্তী মিশু, মো. ফারজিব মাহমুদ, মো. সাফায়েত হোসেন ও জিহাদুল ইসলাম।
বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে উপাচার্য ও শিক্ষকবৃন্দ।  ছবি: আবুল খায়ের মোহাম্মদ আতিকুজ্জামান

 

বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলামিস্ট এবিএম মূসার উদ্যোগে ২০১৩ সালে ‍‍‘আতাউস সামাদ স্মারক ট্রাস্ট ফান্ড‍‍’ প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০১৪ সাল থেকে মূলত তিনটি উদ্দেশ্যে এই ট্রাস্ট ফান্ড কার্যকর হয়। ফান্ড থেকে প্রথমত প্রতিবছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে বিএসএস (সম্মান) সমাপনী পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর মেধা ও আর্থিক সংগতির বিষয়টি বিবেচনা করে একাধিক শিক্ষার্থীকে স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে অধ্যয়নরত অবস্থায় বিভাগীয় একাডেমিক কমিটির সুপারিশক্রমে প্রত্যেককে এককালীন ‘আতাউস সামাদ স্মারক ট্রাস্ট বৃত্তি‍‍’ মঞ্জুর করা হয়।
 

দ্বিতীয়ত, এই ফান্ড থেকে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের এক বা একাধিক শিক্ষককে চিকিৎসার জন্য তাঁদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিভাগের সিএন্ডডি কমিটির সুপারিশ ও ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যানের অনুমোদনক্রমে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়ার নিয়ম রয়েছে।
এ ছাড়া প্রতিবছর সাংবাদিক আতাউস সামাদ স্মরণে তাঁর মৃত্যুবার্ষিকীর কাছাকাছি সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ কর্তৃক ‍‍‘আতাউস সামাদ স্মারক বক্তৃতা‍‍’ আয়োজন করা হয়। বক্তৃতা প্রদানকারীর সম্মানী এবং অন্যান্য ব্যয় ‍‍‘আতাউস সামাদ স্মারক ট্রাস্ট ফান্ড‍‍’ থেকে বহন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে সাংবাদিকতার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রিন্ট/ইলেকট্রনিক/অনলাইন মিডিয়ার একজন সাংবাদিককে ‍‍‘আতাউস সামাদ স্মারক অ্যাওয়ার্ড’ তথা আজীবন সম্মাননা প্রদান করা হয়।
 

ছয় সদস্যবিশিষ্ট একটি ট্রাস্টি বোর্ড ‍‍‘আতাউস সামাদ স্মারক ট্রাস্ট ফান্ড‍‍’ পরিচালনা করেন। গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান একটি নির্বাচনী বোর্ডের মাধ্যমে সম্মাননা প্রদানের জন্য একজন সাংবাদিক নির্বাচিত করে ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যানের অনুমোদনের জন্য সুপারিশ করেন এবং ‘আতাউস সামাদ স্মারক বক্তৃতা‍‍’ অনুষ্ঠান আয়োজনের সার্বিক দায়িত্ব পালন করেন।
 

শিক্ষা বিভাগের আরো খবর

Link copied!