স্বাধীনতা দিবসে ‘সবুজ যুদ্ধ, সবুজে মুক্তি, একসঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তন রুখি’ এই স্লোগানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সবুজ বিশ্ব গড়ার দাবিতে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (২৬ মার্চ) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের চেতনা-৭১ এর সম্মুখে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় বিশ্ব রেকর্ড সিলেট বিভাগের কো-অর্ডিনেটর মো. রমজান হোসেন রনির সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন সিলেট বিভাগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল করিম কিম এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শাবিপ্রবির জিওগ্রাফী এন্ড এনভায়রনমেন্ট বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম।
পরিবেশ রক্ষায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ‘সবুজ মানব প্রাচীর’ গঠনে গ্লোবাল ‘ল’ থিঙ্কার্স সোসাইটি পরিবেশ পুনরুদ্ধারে অঙ্গীকারবদ্ধ হতে বাংলাদেশসহ বিশ্ববাসীকে একত্রিত করার লক্ষ্য গার্ডিয়ান অফ দ্য আর্থ-২০৩০ সাল অবধি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য মাত্রা নিশ্চিতকরণের উদ্যোগ নিয়েছে। এতে সহযোগী সংগঠন হিসেবে রয়েছে জিওগ্রাফী এন্ড এনভায়রনমেন্ট বিভাগ, ফরেস্ট্রি এন্ড এনভায়রনমেন্টাল বিভাগ ও শাবিপ্রবির পরিবেশ বিষয়ক সংগঠন গ্রিন এক্সপ্লোর সোসাইটি।
বিশ্ব রেকর্ড সিলেট বিভাগের কো-অর্ডিনেটর মো. রমজান হোসেন রনি বলেন, “বৃক্ষ রোপণের মাধ্যমে বিশ্বের শিক্ষার্থী ও বহু পেশাজীবিদের নিয়ে জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় অগ্রসর হচ্ছে জিএলটিএস। তারই ধারাবহিকতায় মহান স্বাধীনতা দিবসে ৫ টি মহাদেশের ১০টি দেশ ( ভারত, নেপাল, মেক্সিকো,পাকিস্তান, মালয়, আইভেরি কোস্ট, হাঙ্গেরি, গাম্বিয়া, ক্যামেরুন, অস্ট্রেলিয়া) ও বাংলাদেশের ৮ টি বিভাগের ৯ জেলায় বাংলাদেশ স্কাউট, ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ, ইপসা, আমরা সবাই ফাউন্ডেশন, সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য, সিএসডাব্লিউপিডিসহ আরও অনেকে সবুজ বিশ্ব গঠনের প্রতিশ্রুতি এবং সংহতি দেখানোর জন্য যুক্ত হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “এতে আমেরিকা মহাদেশ থেকে আবনার প্লাটা, অস্ট্রেলিয়া থেকে নিউ এক্ট, ইউরোপ থেকে মাইন্ডফুলেয়েন্সার, আফ্রিকা থেকে গার্লস রাইজিং মালাউই, সেইভ লাইফ গাম্বিয়া এবং এভিএসডি, এশিয়া থেকে লুবনিনি ওয়ার্ল্ড পিস নেপাল, ইন্ডিয়া থেকে মাউন্ড গাইড ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এবং পিস অফ পাকিস্তান অংশগ্রহণ নিচ্ছে।”
আবদুল করিম কিম বলেন, “আমরা সচেতন তো দেশ সচেতন, পরিবেশের জন্য আমরা যা ভালো কিছু করবো তা একসময় ভালো কিছু হিসেবেই ফিরে পাবো।”
ড. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, “পরিবেশ সচেতনতা রক্ষার উদ্দেশ্যে তরুণ প্রজন্মের এই স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণই প্রমাণ করে যে আমাদের তরুণ সমাজ পরিবেশ রক্ষার জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ রয়েছে।”