• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাবিতে তিন হলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ১০


জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মার্চ ৬, ২০২৪, ১১:৫৫ এএম
জাবিতে তিন হলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ১০
জাবিতে তিন হলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ। ছবি : প্রতিনিধি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) শহীদ রফিক জব্বার হল সংলগ্ন রাস্তায় নির্মিত দেয়াল ভাঙাকে কেন্দ্র করে তিন হলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (৫ মার্চ) রাত ৭টা থেকে শুরু হওয়া সংঘর্ষ মধ্যরাতের পরেও চলেছে।

সংঘর্ষে জড়ানো হলগুলো হলো শহীদ রফিক জব্বার হল, শেখ রাসেল হল, শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ হল।

জাবির শিক্ষার্থীরা জানায়, গত বছরের ২৭ জানুয়ারি ওই রাস্তায় স্থায়ী দেয়াল নির্মাণ করেন শহীদ রফিক জব্বার হলের শিক্ষার্থীরা। এতে শহীদ রফিক জব্বার হল সংলগ্ন রাস্তায় দেয়াল নির্মাণের ফলে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ ও শেখ রাসেল হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে অসুবিধাসহ নানা ধরনের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এরই মধ্যে সোমবার (৪ মার্চ) থেকে দেয়ালটি ভাঙ্গার দাবিতে গণস্বাক্ষর গ্রহণ কর্মসূচি শুরু করে দুই হলের শিক্ষার্থীরা।

পরে বিষয়টি জানাজানি হলে মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে দেয়ালটিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি অঙ্কনের চেষ্টা করে রফিক জব্বার হলের শিক্ষার্থীরা। এ সময় শেখ রাসেল হলের শিক্ষার্থীরা দেয়ালে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি অঙ্কনে বাধা দিলে দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।

একপর্যায়ে শেখ রাসেল ও শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ হলের শিক্ষার্থীরা মিলে রফিক জব্বার হলের শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দিলে তারা ভেতরে চলে যায়। পরে উভয়পক্ষের মধ্যে কয়েক দফায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ, পটকা ফুটানো ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এর মধ্যে রফিক জব্বার হলের ৪৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী রেজাউল ও নিশাত গুরুতর আহত হয়েছেন। বাকিদের নাম ও পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।

জানতে চাইলে শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ হলের ছাত্রলীগ নেতা মহিবুর রহমান শুভ বলেন, দেয়ালটি ভাঙলে দুই হলের শিক্ষার্থীদের জন্য আসা-যাওয়া খুব সহজ হয়ে যাবে।  আমরা শহীদ রফিক জব্বার হলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে কথা বলেছি। কিন্তু তারা আমাদের কথা না শুনে দেয়ালে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি আঁকা শুরু করেছিল। ফলে তাদেরকে শিক্ষার্থীরা  বাধা দেয়। একটু পর আবার তারা প্রায় ৩০ জন এক সঙ্গে এসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি আঁকা শুরু করে দেয়। ফলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। পরে আমরা প্রক্টর  এবং দুই হলের প্রভোস্টকে জানিয়েছি। কিন্তু তারা শিক্ষার্থীদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেনি।

একই কথা জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক অলক কুমার পাল।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলম বলেন, “আমরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উভয়পক্ষকে শান্ত করার চেষ্টা করছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রয়োজনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা নেব।”

Link copied!