• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

ডিসিকে স্যার ডাকতে বাধ্য করায় বেরোবি শিক্ষকের প্রতিবাদ


রংপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মার্চ ২৩, ২০২৩, ০৯:০৩ পিএম
ডিসিকে স্যার ডাকতে বাধ্য করায় বেরোবি শিক্ষকের প্রতিবাদ

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষককে ‘স্যার ডাকতে বাধ্য করার’ অভিযোগ উঠেছে নবনিযুক্ত  জেলা প্রশাসক  ড. চিত্রলেখা নাজনীনের বিরুদ্ধে।

বুধবার (২২ মার্চ) রাতে এরই প্রতিবাদে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন বেরোবির অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক উমর ফারুক।

এ সময় তার শিশু সন্তানসহ হাতে লেখা প্ল্যাকার্ড নিয়ে অবস্থান নেন ওই শিক্ষক। সেখানে লেখা রয়েছে ‘রংপুরের জেলা প্রশাসক স্যার ডাকতে বাধ্য করায় অবস্থান কর্মসূচি।’

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিষয়টি  মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা তার সঙ্গে যোগ দেন।  প্রথমে পোস্ট দিয়ে নিশ্চিত করেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন ও বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদ। এরপর কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরাও অংশ নেন।

এ সময় সেখানে উপস্থিত শিক্ষার্থীসহ কৌতূহলী মানুষজনের উদ্দেশে অভিযোগকারী শিক্ষক উমর ফারুক বলেন, “রংপুরের একটি স্কুলের বিষয়ে কথা বলতে আমি সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে জেলা প্রশাসকের দপ্তরে তার সঙ্গে দেখা করতে যাই। শহীদ শংকু সমজদারের নামে প্লে গ্রুপ থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত গত তিন বছর থেকে একটি স্কুল পরিচালনা করি। এ বিষয়ে কথা বলার জন্য মূলত আমি সেখানে যাই। এসময় জেলা প্রশাসককে ‘স্যার’ সম্বোধন না করায় তিনি ক্ষুব্ধ হন।”

এ সময় সেখান থেকে বেরিয়ে এসে শিক্ষক উমর ফারুক জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নিচে প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে একাকি অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক তুহিন ওয়াদুদ বলেন, “বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। একজন জেলা প্রশাসককে কেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক স্যার বলবেন?”

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যা ৭টায় শিক্ষক উমর ফারুকের অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে জেলা প্রশাসক চিত্রলেখা নাজনীন অন্যান্য কর্মকর্তাদের নিয়ে নিচে নেমে এসে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের শান্ত করার চেষ্টা করেন। রাত পৌনে ৯টায় জেলা প্রশাসক ঘটনাস্থলে গিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন। এতে উভয়পক্ষের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে বলে মীমাংসা হয় এবং ফটোসেশনের মাধ্যমে উদ্ভুত পরিস্থিতির অবসান হয়।

এ ধরণের পরিস্থিতির জন্য দুঃখ প্রকাশ করে জেলা প্রশাসক ড. চিত্রলেখা নাজনীন বলেন, “বিষয়টি নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে।”

Link copied!