ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ নেত্রীর নির্যাতনের শিকার ফুলপরী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে থাকার আবেদন করেছেন।
শনিবার (৪ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হল বাছাই করতে পাবনা থেকে ক্যাম্পাসে ফেরেন ফুলপরী। এ সময় সঙ্গে ছিলেন তার বাবা আতাউর রহমান।
এ বিষয়ে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রাধ্যক্ষ মিয়া মো. রাশিদুজ্জামান বলেন, “ভুক্তভোগী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে থাকার ইচ্ছা ব্যক্ত করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ থেকে আমরা এ সংক্রান্ত চিঠি পেয়েছি। হাইকোর্টের নির্দেশনা মোতাবেক তার পছন্দমত আবাসিকতা দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।”
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, “ফুলপরীকে ক্যাম্পাসে আনার জন্য পাবনার এসপি ও কুষ্টিয়ার এসপির সঙ্গে কথা বলেছিলাম। তারা তার বাসা থেকে পাবনা পর্যন্ত পৌঁছে দিয়েছে। পরে শিলাইদহ ঘাট থেকে সহকারী প্রক্টর শাহাবুব আলম, ইবি থানার পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল বডির সহযোগিতায় তাকে ক্যাম্পাসে আনা হয়েছে। ফুলপরীর সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল বডি।”
দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে ১১ ও ১২ ফেব্রুয়ারি দুই দফায় ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী ফুলপরীকে রাতভর র্যাগিং, শারীরিকভাবে নির্যাতন ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণের ঘটনা ঘটে। এতে শাখা ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, তাবাসসুম ইসলাম, ইশরাত জাহান মীম, হালিমা আক্তার উর্মি ও মুয়াবিয়া জাহানসহ কয়েকজন জড়িত ছিলেন।
পরে ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ১৫ ফেব্রুয়ারি একটি তদন্ত কমিটি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।একইদিন ফেব্রুয়ারি পৃথকভাবে দেশরত্ন শেখ হাসিনা হল ও শাখা ছাত্রলীগ তদন্ত কমিটি গঠন করে। এছাড়া হাইকোর্টের নির্দেশেও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন।
বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটির রিপোর্ট মোতাবেক ১ মার্চ বিচারপতি জে বি এম হাসান ও রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ আদেশে অস্থায়ীভাবে বহিষ্কার হন অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেত্রী সানজিদা চৌধুরী অন্তরাসহ ৫ জন। হাইকোর্ট থেকে আরও নির্দেশ দেওয়া হয় ভুক্তভোগী ফুলপরী যে হলে থাকতে চান সে হলের আবাসিকতা দেওয়ার।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার সকালে ক্যাম্পাসে ফেরেন ফুলপরী এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে থাকতে ইচ্ছে পোষণ করেন।
আপনার মতামত লিখুন :