৩৩ বছর পর ভোট, গুনতে লাগল ৪০ ঘণ্টা


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২৫, ০৩:৩৪ পিএম
৩৩ বছর পর ভোট, গুনতে লাগল ৪০ ঘণ্টা
ভোট গণনা শেষ হলো

দীর্ঘ ৩৩ বছর পর বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট গণনা অবশেষে শেষ হলো। ভোট গুনতে লাগল ৪০ ঘণ্টারও বেশি সময়।

বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে শুরু হয় ভোট গ্রহণ। চলে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। ওই দিন রাত সোয়া ১০টায় শুরু হয় গণনা। আর শনিবার বেলা আড়াইটার পরে শেষ হলো ভোট গণনা। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে ভোট গণনা করা হয়।

ভোট গণনা শেষ হওয়ার সময়সীমা ও নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ নিয়ে একেকবার একেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

শুক্রবার রাতের মধ্যেই জাকসু ও ২১টি হল সংসদের ভোট গণনা শেষে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মো. মনিরুজ্জামান।

এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও নির্বাচন কমিশনের সদস্যসচিব এ কে এম রাশিদুল আলম জানিয়েছিলেন, শুক্রবার রাত ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে সম্পূর্ণ গণনা শেষ করে বেসরকারিভাবে ফলাফল প্রকাশ করতে পারবেন তারা। তার আগে তিনি শুক্রবার দুপুরে ফলাফল প্রকাশ করতে পারবেন বলে জানান।

সর্বশেষ নির্বাচন কমিশনের সদস্য অধ্যাপক লুৎফুল এলাহী জানান, বেলা একটার মধ্যে ভোট গণনা শেষ হবে।

সন্ধ্যা সাতটার মধ্যে ভোট গণনা শেষ করে, ফল প্রস্তুত করে ঘোষণা করতে পারবেন বলে আশা করছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মো. মনিরুজ্জামান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১ হাজার ৯১৯ জন নিবন্ধিত ভোটার তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করবেন। এর মধ্যে ছাত্র ৬ হাজার ১০২ জন এবং ছাত্রী ৫ হাজার ৮১৭ জন। একজন ভোটারকে কেন্দ্রীয় সংসদ ও হল সংসদ মিলিয়ে মোট ৪০টি পদে ভোট দিতে হবে। এর মধ্যে জাকসুতে ২৫টি এবং হল সংসদে ১৫টি পদ রয়েছে।

সব মিলিয়ে ৩৪০টি পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৬২০ জন প্রার্থী, যাদের মধ্যে ৪৪৮ জন ছাত্র ও ১৭২ জন ছাত্রী। তবে হল সংসদগুলোর প্রায় ৬০ শতাংশ পদ হয় শূন্য, নয়তো বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি হলের ৩১৫টি পদের মধ্যে ১৩১টিতে প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত এবং ৬৮টি পদ শূন্য থাকছে। কেন্দ্রীয় সংসদে ১৭৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, যার মধ্যে ১৩২ জন ছাত্র ও ৪৫ জন ছাত্রী।

Link copied!