• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

সুযোগ পেয়েও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি অনিশ্চিত নয়মির


সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: এপ্রিল ১৫, ২০২৪, ০১:৩২ পিএম
সুযোগ পেয়েও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি অনিশ্চিত নয়মির
বাবার সঙ্গে নয়মি সরকার। ছবি : সংগৃহীত

সাতক্ষীরার তালার নয়মি সরকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভর্তি পরীক্ষায় কলা ও মানবিক ইউনিটে ১৭৪৯তম স্থান অধিকার করেছেন। তবে স্কুলজীবন থেকেই আর্থিক অনটনের মধ্যে পড়ালেখা করা এই মেধাবী শিক্ষার্থীর ঢাবিতে ভর্তি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ও পরবর্তী পড়ালেখার খরচ কীভাবে জোগাড় করবে এই শঙ্কায় দিন কাটছে নয়মি ও তার পরিবারের।

নয়মি সরকার তালা উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের কানাইদিয়া গ্রামের দিনমজুর জেমস যদু সরকার ও অর্চনা সরকারের মেয়ে।

নয়মি সরকার বাবা জেমস যদু সরকার বলেন, “খলিলনগর ইউনিয়নের ফতেপুর গ্রামে আমার পৈতৃক বাড়ি। স্ত্রী অসুস্থ হওয়ায় যে দুই শতক জমির ওপরে বসবাস করতাম তা বিক্রি করে চিকিৎসা করেছি। এখন জালালপুর ইউনিয়নের কানাইদিয়া গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে বসবাস করছি। এক ছেলে, এক মেয়ে ও স্ত্রী নিয়ে আমার সংসার। অন্যের জমিতে কাজ করে আমার সংসার চলে। ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনার খরচ চালাতে আমার খুব কষ্ট হয়, কীভাবে মেয়েকে এখন ভর্তি করব তা আমি নিজেও জানি না।”

নয়মি সরকার বলেন, “আমার বাবা আমাদের দুই ভাই-বোনকে খুব কষ্ট করে পড়াশোনা করান। আমি এসএসসি ও এইচএসসিতে এ প্লাস পেয়েছি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কলা ও মানবিক ইউনিটে ১৭৪৯তম স্থান অধিকার করেছি। টাকার অভাবে কোচিং করতে পারিনি, কোনো রকমে অনলাইনের মাধ্যমে কোচিং করেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ পেয়েও শুধু টাকার অভাবে ভর্তির ব্যাপারে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে আমার। আমি বিত্তবানদের কাছে ভর্তি ও লেখাপড়ার খরচের জন্য সহযোগিতা কামনা করছি।”

খলিলনগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান প্রণব ঘোষ বাবলু বলেন, “অর্থের অভাবে মেয়েটির বাবা এলাকা ছেড়ে কানাইদিয়া এলাকায় বসবাস করেস। তার পড়াশোনায় সহযোগিতা করার জন্য সমাজের বিত্তবানদের কাছে অনুরোধ করছি।”

জালালপুর ইউপি চেয়ারম্যান এম মফিদুল হক বলেন, “আমার এলাকা থেকে নয়মি সরকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। আমি তাঁকে আর্থিক সহযোগিতা করার চেষ্টা করব।”

শিক্ষা বিভাগের আরো খবর

Link copied!