সম্প্রতি এক অভিভাবকের সঙ্গে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন নাহারের একটি ফোনালাপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। যেখানে অধ্যক্ষ কামরুন নাহার অকথ্য ভাষায় কথা বলেছেন। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
ফোনালাপের সময় অধ্যক্ষ কামরুন নাহার কথা বলার একপর্যায়ে অভিভাবক মীর সাহাবুদ্দিন টিপুকে বলেন, ‘আমি বালিশের নিচে পিস্তল রাখি। কোনো ... বাচ্চা যদি আমার পেছনে লাগে আমি কিন্তু ওর পেছনে লাগব, আমি শুধু ভিকারুননিসা না, আমি দেশছাড়া করব।’
ফোনালাপ ফাঁসের বিষয়টি স্বীকার করে মীর সাহাবুদ্দিন টিপু বলেন, “প্রায় ৪০ জনের মতো অভিভাবককে নিয়ে অধ্যক্ষের সঙ্গে তাদের দাবির কথা বলতে গিয়েছিলাম। তিনি বাইরে দাঁড় করিয়ে রেখে বিদায় করেছেন। আমিও তাকে বলে এসেছি ৩০ তারিখের মধ্যে অভিভাবকদের কাজগুলো করে দিতে হবে। করোনা বিপর্যস্ত অভিভাবকদের টিউশন ফি মওকুফের জন্য গিয়েছিলাম। তিনি তা করেননি। এসব কারণে ফোনালাপের অডিও ফাঁস করে দিয়েছি।”
এদিকে অধ্যাপক কামরুন নাহারের দাবি সুপার এডিট করে ফোনালাপটি প্রকাশ করা হয়েছে। এটি তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র উল্লেখ করে ভিকারুননিসার অধ্যক্ষ বলেন, “সুপার এডিট করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফোনালাপের একাংশ প্রকাশ করা হয়েছে। অভিভাবক মীর সাহাবুদ্দিন টিপু শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য আবেদন জানিয়েছিল। আমি ভর্তি করাইনি। করোনার মধ্যে প্রায় ৪০ জন অভিভাবক নিয়ে এসে তাদের বিভিন্ন দাবি তুলে ধরতে চেয়েছিলেন। আমি করোনা পরিস্থিতি স্থিতিশীল হলে অফিসে দেখা করতে বলেছিলাম। আমাকে অভিভাবক টিপু আল্টিমেটাম দিয়ে চলে যান। আমারে সরিয়ে দিতে তারা পরিকল্পনা করেই এমন ঘটনা ঘটিয়েছে।”
অধ্যক্ষ আরও বলেন, “শিক্ষকদের বেতন অর্ধেক করে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি (টিপু)। গভর্নিং বডির সদস্যদের কেউ কেউ শিক্ষকদের অসম্মান করেন। এসব প্রতিবাদ করায় পরিকল্পিতভাবে আমার বিরুদ্ধে লেগেছেন।”
গত ২২ মার্চ ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতির কাছে অভিভাবক ফোরামের পক্ষে উপদেষ্টা মীর সাহাবুদ্দিন টিপু এবং সংগঠনের সভাপতি আব্দুর রহিম হাওলাদার রানার স্বাক্ষরে শিক্ষার্থী ভর্তির অনুরোধ জানানো হয়। প্রথম শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য করা আবেদনে বলা হয়, ‘গভর্নিং বডির সদস্যদের আত্মীয়স্বজনদের কিছু অনুরোধ আছে।’