• ঢাকা
  • রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ২ ফাল্গুন ১৪৩০, ১৭ শা'বান ১৪৪৬

টিকা প্রদানসহ তিন দফা সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের


জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুলাই ১৪, ২০২১, ০৫:৪৯ পিএম
টিকা প্রদানসহ তিন দফা সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের জন্য করোনাকালে পরিবহন সার্ভিস চালু, পরীক্ষার ফি মওকুফ ও করোনা টিকা প্রদানের জন্য তিন দফা দাবি জানিয়েছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট জবি শাখা।

বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) এক যুক্ত বিবৃতিতে এই দাবি জানান জবি শাখার সহ-সভাপতি সুমাইয়া সোমা ও সাধারণ সম্পাদক তানজিম সাকিব।

বিবৃতিতে নেতারা বলেন, “সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট জবি শাখা বিভিন্ন সময় শিক্ষার্থীদের পক্ষে বিভিন্ন দাবি তুলেছেন এবং আদায় করেছেন।  বর্তমান করোনাক্রান্তিতে গোটা দেশ যেখানে থমকে গেছে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০ হাজার শিক্ষার্থীদের অবস্থা সেখানে ভয়াবহ। গত দেড় বছর ধরে অনাবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়টি বন্ধ থাকায় অধিকাংশ শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় মেস-বাড়ি ভাড়া করে, টিউশন বা খণ্ডকালীন চাকরি করে পড়াশোনার খরচ বহন করছেন। এমতাবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন করোনাকালীন শিক্ষার্থীদের স্বার্থে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করে বরং করোনাকালীন আগে ও পরে বিভিন্ন পরীক্ষার ফি চাপিয়ে দিয়েছে। এতে শিক্ষার্থীদের ওপর বোঝা ও অমানবিকতার প্রকাশ ঘটেছে।”

নেতারা আরও বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক সম্প্রতি এক অনলাইন পত্রিকায় বেতন ফি মওকুফ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন এবং প্রশাসনের কাছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের এক দল প্রতিনিধি করোনাকালীন বাস সার্ভিস চালু করে বিভাগীয় শহরে পৌঁছে দেওয়ার দাবি জানালে প্রশাসন বাস ড্রাইভারের দক্ষতাকে অজুহাত করে দাবি নাকোচ করেছেন। ফ্রন্টের জবি শাখা প্রশাসনের দায়িত্বহীনতা ও দায় এড়িয়ে যাওয়া এই বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। পাশাপাশি আমরা শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে নিম্নোক্ত তিন দফা দাবি প্রশাসনের কাছে উত্থাপন করছি।”

দাবিগুলো হলো, জবির সকল শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মচকর্তা-কর্মচারীদের করোনা ভ্যাকসিন দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিতে হবে। ঈদের ছুটির আগে লকডাউনে আটকে পড়া শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে নিরাপদে বাড়ীতে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা নিতে হবে। সকল ধরনের বেতন-ফি মওকুফ করতে হবে।

নেতারা বলেন, প্রশাসন যদি শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার ব্যাপারে উদ্বিগ্ন হয়, তবে তাদের এই দাবি অবিলম্বে মেনে নেওয়া উচিত।

শিক্ষা বিভাগের আরো খবর

Link copied!