টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) সংসদীয় আসনের উপ-নির্বাচনে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে সাত প্রার্থীর মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীসহ চারজনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
সোমবার (২০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের মিলনায়তনে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এএইচএম কামরুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মনোনয়নপত্র বাতিলকৃতদের মধ্যে রয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য খান আহমেদ শুভ, বৈরাবরী পার্টির (অনিবন্ধিত) যুগ্ম-সম্পাদক পীর সৈয়দ আলমগীর হোসেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. নুরুল ইসলাম নুরু ও আরজু মিয়া।
সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এএইচএম কামরুল হাসান জানান, সেন্ট্রাল ইনফরমেশন ব্যুরো (সিআইবি) রিপোর্ট অনুযায়ী খেলাপী ঋণের জামিনদার থাকায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী খান আহমেদ শুভ এবং ভোটার আইডির নামের সঙ্গে মনোনয়নে প্রদত্ত নামের মিল না থাকায় বৈরাবরী পার্টির (অনিবন্ধিত) যুগ্ম-সম্পাদক পীর সৈয়দ আলমগীর হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। এছাড়া এক শতাংশ ভোটারের সাক্ষরে গড়মিল থাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. নুরুল ইসলাম নুরু ও আরজু মিয়ার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।
মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) সংসদীয় আসনের উপ-নির্বাচনে তিনজনকে বৈধ প্রার্থী ঘোষণা করা হয়। বৈধ প্রার্থীরা হচ্ছেন জাতীয় পার্টির সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য জহিরুল ইসলাম জহির, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির টাঙ্গাইল জেলা শাখার সভাপতি গোলাম নওজব চৌধুরী পাওয়ার ও বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টির সদস্য রূপা রায় চৌধুরী।
সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এএইচএম কামরুল হাসান জানান, টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) সংসদীয় আসনের উপ-নির্বাচনে সাতজনের মধ্যে চারজনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। আগামী তিন দিনের মধ্যে মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীরা আপিল করতে পারবেন।
গত ১৬ নভেম্বর এ আসনের সংসদ সদস্য মো. একাব্বর হোসেন চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। ৩০ নভেম্বর আসনটি শূন্য ঘোষণা করে তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। ২০ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ২৭ ডিসেম্বর। আগামী ১৬ জানুয়ারি এ সংসদীয় আসনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।