• ঢাকা
  • সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বিএসএফের বাধায় বন্ধ মুক্তিযোদ্ধাদের সমাধি সংরক্ষণ কাজ


চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৬, ২০২১, ০৮:৪৬ পিএম
বিএসএফের বাধায় বন্ধ মুক্তিযোদ্ধাদের সমাধি সংরক্ষণ কাজ

২০১৮ সালে ১৭ সেপ্টেম্বর প্রায় পনের লাখ টাকার বাজেট দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের জীবন্ত ইতিহাস সংরক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছিল বাংলাদেশ সরকার। কিন্তু সে কাজে বাধা এসেছে বন্ধু প্রতীম দেশ ভারত থেকেই। সীমান্তের দেড়শ গজের মধ্যে হওয়ায় আন্তর্জাতিক সীমানা আইনে কাজ বন্ধ করে দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।

ছয়জনই ছিলেন ইপিআর সদস্য। সন্মুখ যুদ্ধে পাক বাহিনীকে পরাজিত করে দেশের জন্য জীবন দিয়ে ভারত সীমান্তে চিরনিদ্রায় ঘুমিয়ে আছেন এই ছয় বীরমুক্তিযোদ্ধা। ছয় বীরমুক্তিযোদ্ধার কবর রয়েছে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার মাধবখালি সীমান্তে। এই স্মৃতি সংরক্ষণে ১৪ লাখ ৯৭ হাজার ৫৮০ টাকা ব্যয়ে মাধবখালি ছয়জন মুক্তিযোদ্ধার সমাধি সংরক্ষণ ও পুনর্নির্মাণ কাজ শুরু করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর। প্রায় অর্ধেক কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর বাধা দেয় বিএসএফ। বন্ধ হয়ে যায় এ কাজ।

সরেজমিন দেখা গেছে, নির্মাণ সামগ্রী পড়ে আছে। বন্ধ আছে কাজ। এলাকাবাসীর দাবি, সরকার যেন ভারতের সঙ্গে আলোচনা করে অসমাপ্ত কাজটি সমাপ্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করে।

এদিকে স্বাধীনতার ৪৯ বছর পর এই প্রথম বিএসএফের পক্ষ থেকে এই ছয় মুক্তিযোদ্ধার সমাধিতে গত বছর ১৬ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানো হয়।

এদিন বিএসএফের ৫৪ সীমানগর ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্ট দেবরাজ সিং বলেন, অবশ্যই উচ্চ পর্যায়ে আলোচনার মাধ্যমে স্মরণীয় এই সমাধি সংরক্ষণের কাজ সমাপ্ত প্রয়াস নেওয়া হবে।

এ ব্যাপারে বিজিবির চুয়াডাঙ্গা ৬ ব্যাটালিয়নের পরিচালক লেফট্যান্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান বলেন, বিএসএফের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তারা নকশায় একটু পরিবর্তন এনে কাজটি সম্পন্ন করার ব্যাপারে সম্মত হয়েছে। বিজিবির পক্ষ থেকে সবধরনের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
১৯৭১ সালের ৪ ডিসেম্বর সকালে ভারতীয় মিত্র বাহিনীর কমান্ডার মেজর দত্ত ও বর্ম্মা এবং ৮ নম্বর সেক্টরের বানপুর সাব-সেক্টর কমান্ডার ক্যাপ্টেন মোস্তাফিজুর রহমানের (সেনা প্রধান মেজর জেনারেল মোস্তাফিজুর রহমান) নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্র বাহিনী যৌথভাবে জীবননগরের মাধবখালি সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে প্রবেশ করে এ অঞ্চলে অবস্থানরত পাকবাহিনীর উপর অতর্কিতভাবে ঝাঁপিয়ে পড়ে। শুরু হয় রক্তক্ষয়ী প্রচণ্ড যুদ্ধ। এ সময় রাজাপুর ও মাধবখালী সীমান্তে সন্মুখ সমরে শাহাদতবরণ করেন হাবিলদার আব্দুল গফুর, নায়েক আব্দুল মালেক, আব্দুর রশিদ, সিপাহী সিদ্দিক আলী, আব্দুল আজিজ ও আবু বকর। যুদ্ধে পাকহানাদার বাহিনীর ২৯ বেলুচ রেজিমেন্টের সৈন্যরা যৌথ বাহিনীর পরাজিত হয়। 

Link copied!