রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলায় থ্রি স্টার প্রতিবন্ধী উন্নয়ন সংস্থার বহিষ্কৃত সভাপতি শহিদ শেখের বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধীদের টাকা আত্মসাতসহ যৌন হয়রানির অভিযোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোয়ালন্দ পৌরসভার সামনে মানববন্ধন করে শতাধিক প্রতিবন্ধী নারী পুরুষ।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী প্রতিবন্ধীরা জানান, শহিদ শেখ সংগঠনের সভাপতি থাকাকালীন প্রায় সাড়ে ৪০০ সদস্যের আড়াই বছরের সঞ্চয় অন্তত সাড়ে ৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। অসহায় প্রতিবন্ধীরা অনেক কষ্ট করে ওই সঞ্চয় জমা করেছিল। শুধু তাই নয় তিনি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রফিকুল ইসলামের নাম ব্যবহার করে প্রতিবন্ধীদের বরাদ্দকৃত ঘর দেওয়ার কথা বলে বিভিন্ন প্রতিবন্ধীর কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন। এছাড়া শহিদ শেখের বিরুদ্ধে এক প্রতিবন্ধীর মাকে যৌনহয়রানীর মত গুরুত্বর অভিযোগও করেন তারা।
হুসাইন নামের একজন প্রতিবন্ধী বলেন, “সরকার থেকে প্রতিবন্ধীদের জন্য ১০টি ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়। প্রতিবন্ধী নেতা হিসেবে শহিদ শেখকে নাম দেওয়ার দায়িত্ব দেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. রফিকুল ইসলাম। কিন্তু শহিদ শেখ ১০টি জায়গায় ২০ জনের নিকট থেকে সরকারি ঘর দেওয়ার কথা বলে ১০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নেয়।”
ইয়াসিন সরদার নামের এক ব্যক্তি জানান, ঘর দেওয়ার কথা বলে শহিদ শেখ তার কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা নিয়েছে।
রাহেলা বেগম নামের অপর প্রতিবন্ধী জানান, ঘর দেওয়ার কথা বলে তার কাছ থেকে ৩৫ হাজার টাকা নিয়েছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শহিদ শেখ যৌন হয়রানীর অভিযোগ সম্পন্ন ভিত্তিহীন উল্লেখ করে বলেন, “আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হিসেবে মানববন্ধনসহ বিভিন্ন অভিযোগ করা হচ্ছে। প্রতিবন্ধীদের সঞ্চয়ের টাকা আমি আত্মসাৎ করিনি। কোনো সদস্য যদি তার সঞ্চয়ের টাকা ফেরত চায় তাহলে দিয়ে দেওয়া হবে।”
এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, “আমার নাম ব্যবহার করে টাকা গ্রহণের বিষয়টি ৭জন প্রতিবন্ধী লিখিত অভিযোগ করেছিল। আমি শহিদ শেখকে ডেকে এসে ইতিমধ্যে ৫ জনের টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। অপরদের কাছ থেকে টাকা গ্রহণের বিষয়টি অস্বীকার করেছে। তাই তাদের আদালতে মামলা দায়ের করতে বলেছি।”