এক জেলায় ডাকাতি করে, অন্য জেলায় ঘুমায়। গ্রেপ্তার এড়াতে তারা এ কাজ করে।
ডাকাত সর্দার আলীর দলের ডাকাতি চুয়াডাঙ্গায় ও ঝিনাইদহ জেলা জুড়ে। সর্বশেষ সোমবার (২২ নভেম্বর) চুয়াডাঙ্গায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর ল্যাপটপ ছিনতাই করেও ঝিনাইদহে পালিয়ে যায়। এর আগে ঝিনাইদহে ডাকাতি করে এসে চুয়াডাঙ্গায় আশ্রয় নেয়।
যখন তখন যাকে তাকে কোপায় আলী। নৃশংস প্রকৃতির লোক সে। তার কাজে কেউ বাধা দিলে তাকে কুপিয়ে আহত করে। তার কোপ থেকে রক্ষা পায়নি তার শাশুড়িও। অবশেষে পুলিশের জালে বন্দি হয়েছে ভয়ঙ্কর ডাকাত সর্দার আলী হোসেন খলিফা (৩০) ও তার সহযোগী রতন (২২)।
চুয়াডাঙ্গার কুখ্যাত ডাকাত সর্দার আলীকে প্রধান সহযোগিসহ গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (২৪ নভেম্বর) ভোরে শহরের ঈদগাহ ময়দানের পাশ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে রামদা, খেলনা পিস্তল ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের লুণ্ঠিত ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়।
আলীর বিরুদ্ধে ১২টি ও তার দলের বিরুদ্ধে ২০ এর অধিক মামলা রয়েছে। তারা পিস্তল দিয়ে ভয় দেখায় আর কেউ বাধা দিলে কুপিয়ে আহত করে। আলী ও তার দলের হামলায় আহত হয়েছেন দশজনের বেশি মানুষ।
আলী চুয়াডাঙ্গার সদর উপজেলার ডিঙ্গেদহ নফরকান্দি গ্রামের মোসলেম হাজাম খলিফার ছেলে। আর রতন পৌর এলাকার বেলগাছি মুসলিম পাড়ার আব্দুস সাত্তারের ছেলে।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বলেন, মোহাম্মদ আলী ডাকাত সর্দার। তার দলে তারা মোট তিনজন। চুয়াডাঙ্গায় সংঘটিত প্রায় সব ডাকাতিতেই এই ডাকাত দলের হাত রয়েছে। তারা খেলনার পিস্তল দিয়ে ভয় দেখিয়ে জিম্মি করে। কেউ বাধা দিলে কুপিয়ে আহত করে।