জামালপুরের বকশীগঞ্জে স্ত্রীকে মাংস কিনে দিতে না পারায় চিঠি লিখে আত্মহত্যা করেছেন হাসান আলী (২৬) নামের এক যুবক।
শুক্রবার (১২ এপ্রিল) সকালে উপজেলার বগারচর ইউনিয়নের বান্দেরপাড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। হাসান আলী বান্দেরপাড় গ্রামের রহমত আলীর ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হাসান আলী বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) রাতে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। শুক্রবার সকালে শ্বশুরবাড়ি থেকে স্ত্রী আফরোজা বেগমকে নিজ বাড়িতে আনার কথা ছিল হাসানের। বেলা ১১টা পর্যন্ত শ্বশুরবাড়িতে না যাওয়ায় আফরোজা নিজেই স্বামীর বাড়ি চলে আসেন। এরপর ঘরের দরজা বন্ধ দেখতে পান।
এ সময় তিনি ঘরের বেড়ার ফাঁক দিয়ে উকি দিয়ে হাসান আলীকে আড়ার সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে চিৎকার করতে থাকেন। পরে স্থানীয়রা এসে পুলিশকে খবর দেন। খবর পেয়ে বিকেলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে। এসময় মরদেহের পাশে একটি চিঠি পাওয়া যায়।
চিঠিতে লেখা ছিল, “মা-বাবা তুমরা ক্ষমা করে দিও। আমি মরার পরে আমার বউ মেয়েকে দেখে রেখ। আমি জানি আমার বউ আমার সাথে রাগ করেছে। ঈদের দিন সবাই গুছ (মাংস) খাইছে কিন্তু আমি গুছ খিলাতে (খাওয়াতে) পারিনি। আমি আমার বউয়ের মুখ ঈদের দিন বেজার দেখলাম। যদি পার ক্ষমা করে দিও।”
চিঠিতে আরও লেখা ছিল, “মা-বাবা তুমরা আফরোজাকে কিছু বলবা না। কারণ আমি ওরে খুব ভালোবাসি। আমার মেয়েকে দেখে রেখ। আফরোজা তুমার জীবন সাদিন (স্বাধীন) করে দিলাম। তোর জীবনে কেউ নাই।”
বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল আহাদ খান আত্মহত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, পরিবারের আপত্তি না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।





































