নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের স্থানান্তর


কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২, ২০২৩, ০৮:৪০ পিএম
নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের স্থানান্তর

বান্দরবান নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তে শূন্যরেখার ক্যাম্প থেকে পালিয়ে বাংলাদেশের ভূ-খণ্ডে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হয়েছে। কক্সবাজার, বান্দরবান জেলা প্রশাসন, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী, আন্তর্জাতিক সাহায্য প্রদানকারি সংস্থার প্রতিনিধিসহ সরকারের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত কমিটি এ কাজ করছেন।

রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) রোহিঙ্গাদের সরিয়ে নেয়া হবে। কক্সবাজারস্থ শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়।

কার্যালয় থেকে জানানো হয়, সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সমন্বয়ে পরিচালিত সর্বশেষ পরিসংখ্যানে সংঘাতের পর তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আশপাশে তাবু টাঙিয়ে মোট ২ হাজার ৯৭০ জন রোহিঙ্গা অবস্থান নেয়ার তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। যেখানে বর্তমানে ৫৫৮ টি পরিবার পাওয়া গেছে। গণনা পরিচালনাকালে ২ হাজার ৯৭০ জন রোহিঙ্গার মধ্যে ২ হাজারের মতো রোহিঙ্গা উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্পে নিবন্ধিত রয়েছেন। ৮ শতাধিক রোহিঙ্গার কোনো নিবন্ধনের তথ্য পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে কক্সবাজারস্থ শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, “শূন্যরেখার ক্যাম্প থেকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের গণনা চূড়ান্ত করা হয়েছে। বুধবার পর্যন্ত ওখানে ৫৫৮ টি পরিবারের ২ হাজার ৯৭০ জন রোহিঙ্গা নিশ্চিত হওয়া গেছে। আশ্রয়রত মোট রোহিঙ্গার দুই-তৃতীয়াংশ বিভিন্ন ক্যাম্পে নিবন্ধিত। শুধু মাত্র এক-তৃতীয়াংশের নিবন্ধন পাওয়া যায়নি। রোহিঙ্গাদের আগামী রোববার সকাল থেকে সরানোর প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। শুরুতেই বিভিন্ন ক্যাম্পে নিবন্ধিতদের পাঠানো হবে। আর অনিবন্ধিতদের কুতুপালং রেহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন ট্রানজিট ক্যাম্পে রাখা হবে।

সংশ্লিষ্টদের দেওয়া তথ্যে জানা যায়, ওখানে নিবন্ধিত বা অনিবন্ধিত বেশ কিছু রোহিঙ্গা অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকায় তাদের নামে মামলা রয়েছে। এদের শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কাজ করছেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।

এর আগে, গত ১৮ জানুয়ারি নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তের শূন্যরেখায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গোলাগুলি-অগ্নিসংযোগের ঘটনায় হামিদ উল্লাহ নামে এক রোহিঙ্গা নিহত ও দুজন আহত হয়েছেন। এ সময় শূন্যরেখার বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের বসতঘর পুড়িয়ে দেওয়া হলে তারা তুমব্রু বাজারে তাঁবু টাঙিয়ে আশ্রয় নেন।

Link copied!