পদ্মা সেতুতে অটোরিকশা রেখে নদীতে ঝাঁপ দিলেন চালক

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা নিয়ে পদ্মা সেতুতে উঠে নদীতে ঝাঁপ দিয়েছেন এক চালক।

রোববার (১৮ জুন) রাত পৌনে ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। চালকের পরিচয় পাওয়া যায়নি। রিকশাটি জব্দ করে পদ্মা উত্তর থানায় রাখা হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, সেতুতে নিষিদ্ধ থাকা রিকশা প্রবেশ করার বিষয়টি হঠাৎ সেতুর নিরাপত্তাকর্মীদের নজরে এলে অটোচালকের দিকে এগিয়ে যান তারা। তাদের দেখে চালক দ্রুত অটোরিকশাটি চালাতে শুরু করেন। একপর্যায়ে ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কা লেগে পড়ে যান তিনি। পরে নিরাপত্তাকর্মীরা কাছাকাছি চলে এলে ভয়ে পদ্মা সেতুর ২১ নম্বর পিলার বরাবর পদ্মা নদীতে ঝাঁপ দেন তিনি।

এদিকে নিখোঁজ ওই চালককে উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ডুবুরিদল অভিযান শুরু করলেও তীব্র স্রোতের কারণে সোমবার (১৯ জুন) দুপুরে তা স্থগিত করা হয়।

অভিযান স্থগিতের আগে পাঁচঘণ্টা পদ্মার তলদেশ ও নদীর ১০ কিলোমিটারজুড়ে তল্লাশি চালায় ফায়ার সার্ভিস ও নৌ পুলিশ।

নৌ পুলিশ ফায়ার সার্ভিসসহ একাধিক সূত্রে জানা যায়, রোববার রাত ২টার দিকে শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্ত হয়ে সেতুতে উঠে মাদারীপুরের শিবচর অংশের ২১ নম্বর পিলারের কাছ থেকে নদীতে ঝাঁপ দেন ওই চালক। এর পর থেকে তিনি নিখোঁজ।

রাতেই খবর পেয়ে লৌহজং, শিবচর নৌ পুলিশের টিম ও ফায়ার সার্ভিসের টিম কাজ শুরু করে। সোমবার সকাল ১০টা থেকে ২১ ও ২২ নম্বর পিলার শনাক্ত করে লৌহজং ও ঢাকার ফায়ার সার্ভিসের দুটি ডুবুরিদল অভিযান শুরু করে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা) নিখোঁজ ব্যক্তিকে শনাক্ত করা যায়নি।

লৌহজং ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন অফিসার লিডার কয়েস আহমেদ বলেন, “রাত ২টা ৪৫ মিনিটে খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। সকালে আমাদের ও ঢাকার টিমের ডুবুরিরা পাঁচঘণ্টা অভিযান চালাই কিন্তু তীব্র স্রোতের কারণে অভিযান বন্ধ করা হয়েছে। আমরা নদীর ১০ কিলোমিটার তল্লাশি চালিয়ে আমাদের নম্বর দিয়ে এসেছি। কেউ সন্ধান পেলে আমাদের জানাবে।”

বিষয়টি নিশ্চিত করে পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমারত হোসেন বলেন, “রাতে সোহেল নামের পদ্মা সেতুর নিরাপত্তাকর্মী আমাদের কল করে তথ্য দেন। পরে আমরা ঘটনাস্থলে যাই।”