রাজশাহীর পুঠিয়ায় আওয়ামী লীগ নেতার ভয়ে টয়লেটে পালিয়েছিলেন কোরবান আলী নামের এক প্রধান শিক্ষক। পরে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করলে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।
সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) উপজেলার সৈয়দ করম আলী শাহ্ উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) প্রধান শিক্ষক কোরবান আলী পুঠিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
কোরবান আলী বলেন, “করোনার সময় থেকে বিদ্যালয়টি আহ্বায়ক কমিটি দিয়ে চলছে। সোমবার সকালে আওয়ামী লীগ নেতা আবদুস সামাদসহ স্থানীয় ১০-১৫ জন ব্যক্তি বিদ্যালয়ে আসেন। আমকে একটি লিখিত কাগজ দিয়ে সেখানে স্বাক্ষর করতে বলেন। আমি অসম্মতি জানালে আমাকে গালাগাল করতে থাকেন। একপর্যায়ে আবদুস সামাদ মোল্লা আমার জামার কলার ধরে টানাটানি করে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। আমি প্রাণ বাঁচাতে বিদ্যালয়ের টয়লেটে ঢুকে পড়ি। সেখান থেকেই ৯৯৯ নম্বরে করলে পুলিশ এসে আমাকে উদ্ধার করে। “
এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আব্দুস সামাদ মোল্লা।
আব্দুস সামাদ মোল্লা বলেন, “রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনের সংসদ সদস্য ডা. মনসুর রহমান টাকার বিনিময়ে কমিটি করার উদ্যোগ নিয়েছেন। এমনকি নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে কোনো তফশিল ছাড়াই নিয়োগ বাণিজ্য করার জন্য কমিটি করেছেন। উল্টো আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দেওয়া হচ্ছে।”
রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনের সংসদ সদস্য ডা. মো. মনসুর রহমান বলেন, “ওই আওয়ামী লীগ নেতা তার পছন্দমতো কমিটি দিতে চান। কিন্তু বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেছেন নিয়ম-নীতি মেনেই কমিটি গঠন করা হবে। এতেই আব্দুস সামাদ ক্ষেপে যান। প্রধান শিক্ষককে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন। এমনকি শারীরিকভাবেও লাঞ্ছিত করেন।”
এ ব্যাপারে পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফারুক হোসেন বলেন, “জাতীয় জরুরি সেবার কল পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি জিডি হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করছে পুলিশ।”
