ভারতের চেরাপুঞ্জিতে অস্বাভাবিক অব্যাহত বর্ষণের ফলে পাহাড়ি ঢলের পানি আসছে সুনামগঞ্জের বিভিন্ন নদী দিয়ে। ফলে সুরমা নদীর ছাতক পয়েন্টে বিপৎসীমার ২৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
শনিবার (১৫ জুন) বিকেল থেকে হঠাৎ পাহাড়ি ঢল এসে বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক কাজ করছে।
পাহাড়ি ঢলের পানি এসে জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার সীমান্তবর্তী লক্ষীপুর ইউনিয়নের নোয়াপাড়া-লক্ষ্মীপুরের একটি বেড়িবাঁধ ভেঙেছে। বাঁধ ভাঙায় লক্ষ্মীপুর , নোয়াপাড়া, রসরাই, সুলতানপুর, হাছনবাহার গ্রামে পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে।
দোয়ারাবাজার উপজেলার অন্তত ৫ গ্রামের মানুষ পানিবন্ধি হয়ে পড়েছে। পানি উঠেছে বিভিন্ন বসতভিটা ও শিক্ষাপ্রতিষ্টানে।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, পূর্বাভাস অনুযায়ী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে। এই সময়ে সকল নদ নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।
সুরমা নদীর ছাতক পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করায় ছাতক উপজেলার ইসলামপুর ইউয়িনের বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে আছে। যদিও এখন পর্যন্ত বসতবাড়িতে পানি ওঠেনি। তবে বিভিন্ন গ্রামীণ সড়ক ডুবে যাওয়ায় বাড়ি থেকে বের হতে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।
এদিকে সুরমা নদীর সুনামগঞ্জ পয়েন্টেও পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। বন্যার শঙ্কায় আছেন বাসিন্দারা। সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার গৌরারং ইউনিয়নের খরচার হাওর পাড়ের অধিকাংশ বসতভিটার সামনে পানি চলে এসেছে।