• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫

মালচিং পদ্ধতিতে শসা চাষে কলেজছাত্রের সাফল্য


বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মার্চ ৩০, ২০২৩, ০৯:৫১ এএম
মালচিং পদ্ধতিতে শসা চাষে কলেজছাত্রের সাফল্য

মালচিং পদ্ধতিতে হাইব্রিড শসা উৎপাদন করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন কলেজছাত্র মনজুরুল আহসান। তিনি যশোরের শার্শা উপজেলার শিকারপুর গ্রামের মৃত মোস্তাফিজুর রহমান ছেলে। মালচিং পদ্ধতিতে শসার বাম্পার ফলন ফলিয়েছেন তিনি।

সরেজমিন দেখা যায়, শিকারপুর গ্রামের ছেলে মনজুরুল আহসান সরকারি বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়াশোনার পাশাপাশি কৃষি কাজে মনোযোগী হন। নিজের মেধা ও অর্থকে কাজে লাগিয়ে ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতে বাড়ির পাশে ৫০ শতক পতিত জমিতে শসার আবাদ শুরু করেন। সেখানে বর্তমান প্রায় ৫-৭ জন বেকার মানুষের কর্মস্থানের সৃষ্টি হয়েছে।

শসা চাষি তরুণ উদ্যোক্তা মনজুরুল আহসান জানান, বগুড়া থেকে অ্যাগ্রো ওয়ান লিমিটেডের থেকে প্রশিক্ষণ শেষে সাবিরা জাতের শসার বীজ বপন করেন। মালচিং পদ্ধতিতে বেড তৈরি এবং রাসায়নিক ও জৈব সার একসঙ্গে প্রয়োগ করে আবাদকৃত জমি পলিথিনের মালচিং শেড দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। এতে অতি বৃষ্টিতেও মাটির গুণাগুণ নষ্ট হয় না। তা ছাড়া এ পদ্ধতিতে কৃষকের উৎপাদন খরচ অনেক কম হয়। অন্যদিকে সাবিরা জাতের শসা রোপণের ৩৫ দিনের মধ্যে ফুল আসে ও ৬৫ দিনে ফলন পাওয়া যায়।

মনজুরুল আহসান আরও জানান, পবিত্র মাহে রমজানে শসার ব্যাপক চাহিদা থাকে এবং দামও ভালো পাওয়া যায়। চলতি মৌসুমে পাইকারি প্রায় ৭০-৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ মণ্ডল জানান, মালচিং পদ্ধতিতে শসা চাষ আধুনিক চাষ পদ্ধতি। এই পদ্ধতি ব্যবহারে জমিতে সার ও সেচ অন্যান্য পদ্ধতির থেকে কম লাগে। তুলনায় রোগবালাইও অনেক কম। আগাছা দমন হওয়ার জন্য এই পদ্ধতি সবচেয়ে ভালো কাজ হয়। 

Link copied!