কাঁঠাল নিলাম নিয়ে সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জের হাসনাবাজ গ্রামে সংঘর্ষে চারজন নিহতের ঘটনার ছয় দিন পর দুটি হত্যা মামলা হয়েছে।
রোববার (১৬ জুলাই) সংঘর্ষে নিহত নুরুল হকের ভাই তফজ্জুল হক বাদী হয়ে মালদার মিয়া গোষ্ঠীর ৬৯ জনকে আসামি করে শান্তিগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। একেই পক্ষে ফারুক আহমেদ আরেকটি মামলা করেন।
অপর দিকে দ্বীন ইসলাম গোষ্ঠীর পক্ষ থেকেও থানায় মামলা করার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান শান্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খালেদ চৌধুরী।
এর আগে ১০ জুলাই সকালে শান্তিগঞ্জ উপজেলার জয়কলস ইউনিয়নের হাসনাবাদ গ্রামে মালদর আলী ও দ্বীন ইসলাম পক্ষের লোকদের মধ্যে সংঘর্ষে চারজন নিহত হন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ৭ জুলাই উপজেলার হাসনাবাদ গ্রামে হাসনাবাজ জামে মসজিদে জুমার নামাজের পর মসজিদ প্রাঙ্গণে একটি কাঁঠাল নিলাম করা হয়। নিলামে মালদার মিয়া গোষ্ঠীর শেখ ফরিদ ও দ্বীন ইসলাম গোষ্ঠীর আনার উদ্দিনের মধ্যে ডাক শুরু হলে উভয় পক্ষের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা দেখা দেয়। এ সময় অধিক দামে কাঁঠাল কেনায় ক্ষুব্ধ হয়ে দ্বীন ইসলাম গোষ্ঠীর লোকজনকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন শেখ ফরিদ। এ ঘটনার জেরে ১০ জুলাই সকাল ১১টায় উপজেলার জয়কলস ইউনিয়নের হাসনাবাজ গ্রামে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে দ্বীন ইসলাম গোষ্ঠীর হাসনাবাজ গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে নুরুল হক (৫০), আব্দুস সুফির ছেলে বাবুল মিয়া (৫৫) ও মালদার মিয়া গোষ্ঠীর আব্দুল বাসিরের ছেলে শাহজাহান মিয়া (৪৫) নিহত হন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মালদার গোষ্ঠীর মৃত আজির মোহাম্মদের ছেলে মুখলেছুর রহমান (৬০) মারা যান।
আপনার মতামত লিখুন :