• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ০১ জুলাই, ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২, ০৫ মুহররম ১৪৪৬

চাকরির প্রলোভন দিয়ে এটিএম বুথের ভেতর কিশোরীকে ধর্ষণ


গাজীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুন ১৬, ২০২৫, ০৫:০০ পিএম
চাকরির প্রলোভন দিয়ে এটিএম বুথের ভেতর কিশোরীকে ধর্ষণ

গাজীপুরের শ্রীপুরে বেশি টাকা বেতনে চাকরির প্রলোভন দিয়ে এক কিশোরীকে (১৪) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শ্রীপুর থানায় মামলা করেছেন। মামলায় ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথের নিরাপত্তাকর্মী লিটন মিয়াকে (৪০) আসামি করা হয়েছে। 

সোমবার (১৬ জুন) শ্রীপুর থানার ওসি (তদন্ত) শামীম আকতার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। 

এদিন দুপুরে ভুক্তভোগীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

আসামি লিটন মিয়া ময়মনসিংহের গফরগাঁও (পাগলা) থানার ডুবাইল গ্রামের আব্দুল আউয়ালের ছেলে। তিনি তালহা স্পিনিং মিলস লিমিটেড কারখানার ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথে নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে কর্মরত।

জানা যায়, রোববার (১৫ জুন) সকালে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের মুলাইদ গ্রামের তালহা স্পিনিং মিলস লিমিটেড কারখানার ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথের ভেতর এ ঘটনা ঘটে। এ দিন রাত সাড়ে ১১টার দিকে কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে মামলা রুজু করেন। 

মামলার বাদী ভিকটিমের বাবা এজাহারে উল্লেখ করেন, তার মেয়ে স্থানীয় একতা কারখানায় ৬ হাজার টাকা বেতনে চাকরি করত। ওই কারখানায় চাকরি করা অবস্থায় ভুক্তভোগী কিশোরী তালহা স্পিনিং মিলস্ লিমিটেড কারখানার ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে নিয়মিত টাকা উত্তোলন করত। একপর্যায়ে ওই বুথের নিরাপত্তাকর্মী কিশোরীর সঙ্গে পরিচয় হলে তাকে বেশি টাকা বেতনে তালহা স্পিনিং মিলস্ লিমিটেডে চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দেয়। রোববার সকাল ৬টায় আসামি লিটন মিয়া ভিকিটিমের বাবার মোবাইলে ফোন করে তার মেয়েকে এটিএম বুথে পাঠাতে বলেন এবং তাকে ১২ হাজার টাকা বেতনের চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। 

আসামির কথায় তিনি মেয়েকে তালহা কারখানার এটিএম বুথে পাঠিয়ে দেন। ওইদিন সকালে মেয়েকে ওই এটিএম বুথের ভেতরে পাশের থাই গ্লাস দিয়ে আটকানো কক্ষে নিয়ে তাকে হত্যার হুমকি দিয়ে লিটন ধর্ষণ করেন। পরে ভুক্তভোগী কিশোরী বাড়িতে গিয়ে বাবাকে ঘটনা জানায়।

এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার ওসি (তদন্ত) শামীম আকতার বলেন, “ঘটনার পর থেকে আসামি ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথের নিরাপত্তাকর্মী লিটন মিয়া কর্মস্থল ছেড়ে পলাতক। আমরা আসামিকে ধরতে অভিযান অব্যাহত রেখেছি।”

Link copied!