ফেনীর ফাজিলপুরে জামায়াত ও বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। মহিলা জামায়াতের প্রোগ্রাম ঘিরে এ ঘটনা ঘটে।
ফেনী সদর উপজেলার ফাজিলপুরে জামায়াত ও বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত ১৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সোমবার রাতে ইউনিয়নের আল-আমিন মার্কেট সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন ফাজিলপুর ইউনিয়ন শিবিরের সভাপতি আরমান হোসেন, ইউনিয়ন শিবিরের ১ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি নাজমুল হাসান, ফাজিলপুর ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারি সোহরাব হাসান, ৯ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের সভাপতি জিয়াউর রহমান, ইউনিয়ন শিবিরের প্রকাশনা সম্পাদক সারাফাতুল্লাহ, শিবিরের ইউনিয়ন সেক্রেটারি মেহেদী হাসান।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ফাজিলপুর ইউনিয়নে আল-আমিন মার্কেট সংলগ্ন একটি বাড়িতে মহিলা জামায়াতের তালিম কর্মসূচিস্থলে যান সদর উপজেলা যুবদলের সদস্য কামরুলসহ কয়েকজন নেতা-কর্মী। সেখানে তাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে জামায়াত এবং বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ঘটনাস্থলে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে উভয়পক্ষ স্থানীয়ভাবে বসে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করে।
এদিন রাতে এ ঘটনায় আহতদের দেখতে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে যান জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা মুফতি আবদুল হান্নান। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীদের ওপর বিএনপি ও যুবদলের লোকজন অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। মহিলা জামায়াতের অনুষ্ঠান বন্ধ করার পরিকল্পনায় ব্যর্থ হওয়ায় তারা পরবর্তী বাজারে আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা করে। এর আগেও আমাদের সক্রিয় নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।’
এ বিষয়ে জেলা যুবদলের আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন খন্দকার বলেন, ‘জামায়াতের মহিলারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ধর্মের নামে মিথ্যে তথ্য ছড়াচ্ছে। এতে আমাদের এক নেতা সেখানে গিয়ে তাদের এসব কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে বললে জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা এসে অতর্কিত হামলা চালায়। তাদের হামলায় আমাদের দলীয় আনোয়ার আজিম, হাসান, দুলাল, কিরণ, কামরুলসহ অন্তত ৭ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।’