• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, আহত ৩০


শরীয়তপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মার্চ ২৭, ২০২৪, ০৮:২৪ পিএম
মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, আহত ৩০
ছবি : ভিডিও থেকে নেওয়া

শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুরে পদ্মা নদীতে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে বিজয়ী ও পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।

বুধবার (২৭ মার্চ) সকাল ৭টার দিকে সখিপুরের কাঁচিকাটা ইউনিয়নের দক্ষিণ মাথাভাঙা এলাকায় এ সংঘর্ষ হয়। আহতদের উদ্ধার করে শরীয়তপুর, চাঁদপুর, মুন্সীগঞ্জ ও ঢাকার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৯ মার্চ কাঁচিকাটা ইউনিয়ন পরিষদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে চশমা প্রতীকের প্রার্থী এইচ এম কামরুল ইসলামকে মাত্র ৬৭ ভোটে হারিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন আনারস প্রতীকের নুরুল আমিন দেওয়ান। আধিপত্য বিস্তার করতে পরাজিত তিন প্রার্থী এইচ এম কামরুল ইসলাম, ফজলুল হক কাওসার মোল্লা ও আব্দুল হাই খান একসঙ্গে জোট বাঁধেন।

এরপর গত সোমবার (২৫ মার্চ) পদ্মা নদীতে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী এইচ এম কামরুল ইসলামের সমর্থক হাওলাদার গ্রুপের ককন হাওলাদার, ইউপি সদস্য আহমেদ আলী মৃধা, রিপন বেপারী ও রফিক মৃধারা বিজয়ী চেয়ারম্যান নুরুল আমিন দেওয়ানের সমর্থক নজির খার বাড়িতে হামলা চালান। এরপর থেকে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চরম আকার ধারণ করে।

বুধবার সকাল ৭ টার দিকে নুরুল আমিন দেওয়ানের সমর্থক জনি দেওয়ানের বাড়িতে প্রথমে হামলা চালানো হয়। এরপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দুই পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষ চলাকালে আল আমিন দেওয়ান, নজরুল খান, সোনা মিয়া দেওয়ানসহ উভয় পক্ষের ৩০ জন আহত হন।

এইচ এম কামরুল ইসলাম সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে এতটুকুই জানি। তবে কী নিয়ে এই সংঘর্ষ হয়েছে বা কতজন আহত হয়েছে আমার জানা নেই।”

কাঁচিকাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আমিন দেওয়ান সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “পরাজয় মেনে নিতে না পেরে আমার সমর্থক দক্ষিণ মাথাভাঙ্গা গ্রামের নজরুল ইসলাম খানের বাড়িতে হামলা করেছে। ওরা বেশ কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন জায়গায় মারামারির প্রস্তুতি নিয়েছিল।”

এ ব্যাপারে সখিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান সংবাদ প্রকাশকে বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পরাজিত ও বিজয়ী চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে প্রায় ২০ থেকে ৩০ জনের মতো আহত হয়েছেন। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে পুলিশ। এঘটনায় মামলা হলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Link copied!