কখনো পুলিশ সুপার, কখনো জেল সুপার আবার কখনো আইনজীবী পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগে প্রতারক চক্রের মূলহোতা হুমায়ূন কবিরকে (২৭) আটক করেছে র্যাব-১৫।
শনিবার (২ মার্চ) সকালে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১৫ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ল অ্যান্ড মিডিয়া) মো. আবু সালাম চৌধুরী।
আটক হুমায়ূন কবির বান্দরবান জেলার লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ঠান্ডাঝিরি এলাকার মৃত বদি আলমের ছেলে।
র্যাবের এ কর্মকর্তা জানান, টেকনাফে আসমাউল হুসনা নামে এক নারী থানায় অভিযোগ দিলে র্যাব-১৫ এর সিপিএসসির একটি আভিযানিক দল অভিযানে নামে। পরে কক্সবাজার সদরের ঝিলংঝা ইউনিয়নের শুকনাছড়ি মুজিবনগর এলাকায় সন্ধ্যায় তাকে আটক করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞেসাবাদে হুমায়ূন কবির জানান, তার আপন ভাই ও স্ত্রীসহ একাধিক ব্যক্তির সহযোগিতায় বিভিন্ন সময় কারাগারে থাকা আসামিদের বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করত। পরে তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে জামিনের কথা বলে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে প্রতারনা করে বিভিন্ন মাধ্যমে টাকা দাবি করে হাতিয়ে নিত।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী নারী আসমাউল হুসনার স্বামী দীর্ঘদিন ধরে কক্সবাজার জেলা কারাগারে কারাভোগ করতে থাকেন। ৯-১০ মাসে আগে তার সঙ্গে দেখা করতে আসা-যাওয়ার সময় হুমায়ূন কবির নামে এক ব্যক্তির পরিচয় হয়। এ সুবাদে তিনি জানান, তার সঙ্গে কক্সবাজার জেলা কারাগারের বিভিন্ন কর্মকর্তা, আইনজীবী, মুহুরি, বিভিন্ন রাজনৈতিক প্রভাবশালী লোকের সুসম্পর্ক রয়েছে। এক লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকার বিনিময়ে ভুক্তভোগীর স্বামীকে জামিন করিয়ে দিতে পারবেন বলে হুমায়ূন কবির জানান।
ওই কথানুযায়ী হুমায়ূন কবিরের একাধিক মোবাইল নম্বরে বিভিন্ন সময়ে এক লাখ তের হাজার নয়শ টাকা পাঠান আসমাউল হুসনা। তবে তিনি তার স্বামীর জামিন নিয়ে দিতে পারেননি। একপর্যায়ে ভুক্তভোগী নারী বুঝতে পারেন তিনি প্রতারক চক্রের খপ্পরে পড়েছেন। পরে এ বিষয়ে তিনি র্যাব-১৫ এর কাছে অভিযোগ করেন।
আটক হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে প্রক্রিয়াধীন রয়েছেন বলে জানায় র্যাব।
আপনার মতামত লিখুন :