ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদের সমর্থকদের ওপর হামলার ঘটনা হয়েছে।
শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে ফরিদপুর সদর উপজেলার ঈশান গোপালপুর এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় ৫ জন আহত হন। আহতরা হলেন বিল্লাল আলী শেখ, খোকন মল্লিক, লালন মন্ডল, সাঈদ মিয়া ও মো. সোহাগ।
স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদের নির্বাচনী কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক আলমগীর হোসেন বলেন, “শুক্রবার সন্ধ্যায় গোপালপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে প্রচার চালিয়ে আমরা ঈগল প্রতীকে ভোট চাচ্ছিলাম। এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলামের নেতৃত্বে আমাদের ওপর হামলা চালানো হয়। এতে আমাদের পাঁচজন সমর্থক আহত হয়েছেন। তাদের ফরিদপুরের জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।”
ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মুনতাসির হাসান জিসান জানান, আহত অবস্থায় ৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদ বলেন, “প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই আমার কর্মী ও সমর্থকদের ওপর নানাভাবে হুমকি ধামকি এমনকি একাধিক হামলার ঘটনা ঘটেছে। এমনটি ঘটতে থাকলে সুষ্ঠু নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে।”
এ ব্যাপারে ফরিদপুর- ৩ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শামীম হক বলেন, “প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও তার কর্মী সমর্থকেরা আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। তারা নানাভাবে মিথ্যা অভিযোগ করছে। আমি ও আমার কর্মী সমর্থকরা নির্বাচন বিধি মেনেই কাজ করে চলছি।”
ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, “এ পর্যন্ত যে কয়টি ঘটনা ঘটেছে পুলিশ তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছে। আমরা সকল প্রার্থীর পক্ষে সহনশীল। কয়েকটি হামলার বিষয়ে আমরা কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছি। নির্বাচনে পুলিশ সব প্রার্থীর নিরাপত্তা ও সহযোগিতা সমানভাবে নিশ্চিত করবে।”
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, নির্বাচন হবে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ। এখানে কাউকে বিশেষ অগ্রাধিকার দেওয়া হবে না। নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মোতাবেক কাজ করবে।
আপনার মতামত লিখুন :