২৩ দিন বন্ধ থাকার পর পাঠদান শুরু হয়েছে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের পাঁচটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সাময়িক বন্ধ ঘোষিত বিদ্যালয়গুলো খুলে দেওয়া হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ত্রিরতন চাকমা।
ত্রিরতন চাকমা বলেন, “ঘুমধুম সীমান্তের পরিস্থিতির কারণে এতদিন স্কুল বন্ধ ছিল। যেহেতু পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে। তাই আজ থেকে স্কুলে পাঠদান আবারও চালু করা হয়েছে।”
বিদ্যালয়গুলো হলো, ঘুমধুম ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী বাইশপারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভাজা বনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিম কুল তমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দক্ষিণ ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন বলেন, “সীমান্তের ওপারের পরিস্থিতি এখন অনেকটাই স্বাভাবিক। সে কারণে স্কুলগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে।”
মিয়ানমারে অভ্যন্তরীণ সংঘাতের কারণে গত ২৯ জানুয়ারি দুপুর ১২টায় এসব বিদ্যালয়ে ছুটি ঘোষণা করা হয়। অবশ্য পরদিন থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পাঠদান চলে।
সে সময় সীমান্তের ওপারে প্রচণ্ড গোলাগুলি ও বোমা বিস্ফোরণের কারণে সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষের মধ্যে তীব্র আতঙ্ক তৈরি হয়। ৪ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমার থেকে উড়ে আসা মর্টারের গোলায় এক বাংলাদেশি নারীসহ দুইজন নিহত হন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকার এসব বিদ্যালয় সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়।








































