• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ৮ শাওয়াল ১৪৪৫

শনিবার থেকে ৬৫ দিন মাছ ধরা বন্ধ


বরগুনা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মে ১৯, ২০২৩, ০৩:১৭ পিএম
শনিবার থেকে ৬৫ দিন মাছ ধরা বন্ধ

মাছের উৎপাদন ও প্রজনন বাড়াতে শুক্রবার (১৯ মে) মধ্যরাত থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিন বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার।

দেশের মাছের চাহিদা ও প্রজননের স্বার্থে ২০১৪ সাল থেকে কার্যক্রমটি বাস্তবায়ন করছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

এদিকে সাগর থেকে জাল উঠিয়ে ক্ষোভ আর হতাশা নিয়ে তীরে ফিরতে শুরু করেছেন জেলেরা।

তারা বলছেন, নিষেধাজ্ঞা আর বৈরী আবহাওয়ায় নাকাল তারা। একটানা মাছ ধরা বন্ধ থাকায় কর্মহীন পরিবার পরিজন নিয়ে দুর্বিষহ দিন কাটাতে হবে জেলেদের। তবে এ সময়ে বরগুনার প্রায় ৪০ হাজার ৫২১ নিবন্ধিত ইলিশ জেলেকে ৮৬ কেজি করে চাল দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে জেলা মৎস্য বিভাগ।

বরগুনা সদর উপজেলার ৭ নম্বর ঢলুয়া ইউনিয়নের জেলে আমজাদ মাঝি বলেন, “আমরা ঘূর্ণিঝড় মোখার সময় ঘাটে এসেছি। পরে চার দিনের জন্য সাগরে গিয়েছিলাম, কিন্তু প্রত্যাশা অনুযায়ী মাছ ধরতে পারিনি। তা ছাড়া সাগরে তেমন মাছ নেই। এ বছর বলতে গেলে ইলিশের আকাল গেছে। তাই এই অবরোধের সময়সীমা কমানোর বিষয় যদি সরকার একটু নজর দিত তাহলে আমরা উপকৃত হতাম। এ ছাড়া এই অবরোধকালীন পার্শ্ববর্তী দেশের জেলেরা আমাদের সাগরে অনুপ্রবেশ করে মাছ শিকার করে নিয়ে যায়। এ বিষয়গুলো ভালোভাবে নজরদারির দাবি জানাচ্ছি।”

বরগুনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব বলেন, সামুদ্রিক মাছের নিরাপদ প্রজনন ও উৎপাদন বাড়াতে ৬৫ দিন সাগরে সব ধরনের মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে মৎস্য অধিদপ্তর। এই সময়ে নিবন্ধিত জেলেদের মধ্যে খাদ্যসহায়তা হিসেবে ৮৬ কেজি করে চাল বিতরণ করা হবে।

গত ১১ মে সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে মন্ত্রী বলেন, সামুদ্রিক মাছের প্রধান প্রজননকালে ৬৫ দিন সাগরে মাছ ধরা বন্ধ কার্যক্রমের উদ্দেশ্য হচ্ছে মাছের নির্বিঘ্ন প্রজনন নিশ্চিত করে মৎস্যসম্পদ বৃদ্ধি করা। এ সময় সব বাণিজ্যিক মৎস্য ট্রলারের সমুদ্রে যাওয়া বন্ধ রাখা হবে। যান্ত্রিক ও আর্টিসানাল মৎস্য নৌযান ঘাটে বাঁধা থাকবে।

স্থানীয় প্রশাসন, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড ও সশস্ত্র বাহিনী মাছ ধরা বন্ধ রাখার কাজে সহায়তা করবে।

সভায় মোট ১২টি বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। তার মধ্যে রয়েছে সমুদ্রযাত্রার প্রবেশপথগুলোতে নজরদারি জোরদার করা, মৎস্য নৌযানের সমুদ্রযাত্রা শতভাগ বন্ধ নিশ্চিত করা, দেশের সমুদ্রসীমায় বিদেশি নৌযানকে মৎস্য আহরণে বিরত রাখা, নৌযান নোঙরস্থলে আবদ্ধ রাখা, সমুদ্রের তীরবর্তী বরফকলগুলো সীমিত পর্যায়ে চালু রাখা, মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের সমুদ্রতীরবর্তী মাছ অবতরণকেন্দ্রগুলো বন্ধ রাখা, সব মাছ ধরার নৌযানকে পর্যায়ক্রমে ট্র্যাকিংয়ের আওতায় নিয়ে আসা, সাগরে মাছ ধরায় নিয়োজিত থাকা সব নৌযানকে ১৯ মের মধ্যে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা প্রভৃতি।

Link copied!