দক্ষিণবঙ্গের ২১টি জেলার প্রবেশদ্বার খ্যাত দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে শেষ বিকালের বৃষ্টিতে ঢাকাগামী যাত্রীরা চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়ে।
রোববার (১ আগস্ট) সকাল থেকেই দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে যাত্রী চাপ দেখা যায়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সেটি বাড়তে থাকলেও বিকাল গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সেটি কমে আসে।
আজ থেকে রাপ্তানিমুখী সকল শিল্প কলকারখানা খোলার খবরে শনিবার সকাল থেকেই দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার মানুষ এই নৌপথে ভিড় জমান তাদের গন্তব্য স্থলে যাবার জন্য।
কেউ কিছুদূর পায়ে হেঁটে, ভ্যানে, রিকশায় কিংবা অটোরিকশা, মাহেন্দ্রতে করে আসেন দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে। এরপর সরকারের ঘোষিত হয় ১৬ ঘণ্টার জন্য গণপরিবহন চালু রাখার খবর। এই খবরে ঢাকাগামী যাত্রীদের স্বস্তি হলেও বাস্তব চিত্রে সেটা দেখা যায় নি। বেশিরভাগ বাস মালিকই এত অল্প সময়ের জন্য মহাসড়কে তাদের বাস চালান নি। তাই, স্বল্প পরিমানে যে বাস চলেছে তাতে জায়গা হয়নি অনেকেরই।
তবে, এসব যাত্রীদের মুখে চোখে ছিল ক্লান্তি আর বিরক্তির ছাপ। তাদের এই বিরক্তিতে আরও মাত্রা যোগ করেছে ফেরিঘাটের বেশি ভাড়া আদায়।
বরিশাল থেকে আগত আব্দুস সালেহ্ জানান, তিনি গাজীপুরের একটি গার্মেন্টসে চাকরি করেন। আজকে অফিস খুলেছে। আমি আগামীকাল অফিসে জয়েন করব। গতকাল আসতে গিয়েও আসতে পারি নি। আর আজ ঘাটে এসে দেখি ফেরি ভাড়া স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি চাচ্ছে।
ফরিদপুর থেকে আসা পায়েল নামের একজন গার্মেন্টস কর্মী জানান, তিনি সাভারের একটি গার্মেন্টসে চাকুরি করেন। আজ গণপরিবহন চালু হওয়াই আজ তার কর্মস্থলে যাচ্ছেন।
চুয়াডাঙ্গা থেকে আগত মীর আলম জানান, তার অফিস আজ থেকে খোলা কিন্তু গতকাল অফিসে ফোন দিয়ে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, সরকার যদি আগে থেকে গণপরিবহন খুলতো তাহলে এই হয়রানি হতে হতো না।
রাজবাড়ী সদর থেকে আগত মুনিরা জানান, তার গার্মেন্টস আশুলিয়া। তিনি গতকাল চেষ্টা করেও যেতে পারেন নাই। তাই তিনি আজকে যাচ্ছেন।
বিআইডাব্লিউটিসির দৌলতদিয়া শাখার ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. শিহাব উদ্দিন জানান, যাত্রী এবং যানবাহন পারাপারের জন্য দৌলতদিয়ায় ৪টি ঘাটে ১৫টি ফেরি চলাচল করছে। সেই সঙ্গে রাত থেকেই আমাদের লঞ্চগুলোও চলাচল করছে। যদিও আজ দুপুর ১২ টার পর লঞ্চ চলাচল বন্ধ হবার কথা থাকলেও সেটি বর্ধিত করে সোমবার সকাল ৬ টা পর্যন্ত করা হয়েছে।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর বলেন, আমাদের পুলিশ বাহিনী সবসময় তৎপর রয়েছে। গতকাল আমরা যে চাপ সামাল দিয়েছি সে চাপটি আজ নেই।