• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৪, ৬ কার্তিক ১৪৩১, ১৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

বাবার ধর্ষণের শিকার বিধবা, লজ্জায় মেয়ের আত্মহত্যা


জামালপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: আগস্ট ২০, ২০২২, ০৭:২৭ পিএম
বাবার ধর্ষণের শিকার বিধবা, লজ্জায় মেয়ের আত্মহত্যা

বাবার ধর্ষণের শিকার এক বিধবা, এই খবর শোনে লজ্জায়-ক্ষোভে আত্মহত্যা করেছে মেয়ে। জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার চেঁচিয়াবাঁধা গ্রামে শুক্রবার (১৯ আগস্ট) রাতে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে।

শনিবার (২০ আগস্ট) দুপুরে নিহত ফাতেমা আক্তার সোনিয়ার (২৫) লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। ফাতেমা আক্তার ওই গ্রামের আবু বকর সিদ্দিকের মেয়ে এবং রামচন্দ্রখালি গ্রামের অন্তর মিয়ার স্ত্রী। তার এক বছর বয়সী একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, রামচন্দ্রখালী গ্রামের দুই সন্তানের জননী ও বিধবা এক নারী (৩৬) কান্দারপাড়া বাসটার্মিনাল সংলগ্ন হোটেলে কাজ করতেন। হোটেলের মালিক সিদ্দিক তার ওই নারীকর্মীকে নানা প্রলোভনে নিয়মিত ধর্ষণ করতেন। এতে তিনি অন্তঃসত্ত্বা হন এবং একপর্যায়ে ৬ আগস্ট ভোরে একটি ছেলে সন্তানের জন্ম দেন। এদিকে ঘটনাটি জানাজানি হলে হোটেল মালিক বিষয়টি অস্বীকার করেন। পরে ওই নারী জামালপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করলে এলাকায় জানাজানি হয়।

এদিকে সিদ্দিকের মেয়ে ফাতেমা আক্তার স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় কিছুদিন আগে বাবার বাড়িতে চলে আসেন। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ ও অপরদিকে হোটেলকর্মীর সঙ্গে বাবার এমন অপকর্মের ঘটনায় ফাতেমা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। শুক্রবার রাতে বাবার বাড়িতে ধরনার  সঙ্গে ফাঁস লাগিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন।

ফাতেমার স্বামী অন্তর মিয়া জানান, চার বছর আগে ফাতেমার সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তিনি বাবার বাড়িতে বেশি থাকতেন। কী কারণে তার মৃত্যু হয়েছে তা তিনি জানেন না।

পোগলদিঘা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম মানিক জানান, হোটেলের নারীকর্মীর সঙ্গে নিহতের বাবার অপকর্মের ঘটনাটি সম্প্রতি জানাজানি হয়েছে। পারিবারিক নানা অশান্তির কারণেই তার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে শুনেছি।

সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মহব্বত কবির বলেন,“লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এব্যাপারে একটি অপমৃত্যুর মামলার প্রস্তুতি চলছে। আত্মহত্যার কারণ তদন্তের আগে কিছু বলা সম্ভব না।”

Link copied!